শরিফ ওসমান হাদি ছিলেন বাংলাদেশি রাজনীতিক ও সক্রিয় জননেতা, যিনি ইনকিলাব মঞ্চ নামক তরুণ ও গণআন্দোলন-ভিত্তিক প্ল্যাটফর্মের মুখপাত্র ও আহ্বায়ক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি ১৯৯৩ সালের ৩০ জুন জালালখেটি জেলার নলছিটি উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং শেখার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা নেন। জুলাই ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর তিনি ইনকিলাব মঞ্চ প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন, সাধারণ মানুষের অধিকার, সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং আধিপত্যবাদ বিরোধী রাজনীতির ধারক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। ইনকিলাব মঞ্চ আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য প্রভাবশালী দলগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা এবং আদালতের বিচার ও পরিবর্তনের দাবি করে রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে আরো দৃঢ়ভাবে আবির্ভূত হয়।
২০২৫ সালের জাতীয় নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে তিনি ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করেন এবং রাজনৈতিক প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেন, যার জন্য তিনি ব্যাপক পুরনো ও নতুন সমর্থক তৈরি করেছিলেন।
তাঁর রাজনৈতিক যাত্রা দুর্ঘটনাজনকভাবে ১২ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে একটি গুলি হামলার শিকার হয়ে ভাঙচুর ও উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়; মুখপাত্র হিসেবে তিনি পল্টনের বিজয় নগর এলাকার কাছে নির্দিষ্ট করে গুলিবিদ্ধ হন এবং গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।
হাদী কিছুদিন জীবন এবং মৃত্যুর লড়াইয়ের পর ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর সহযোদ্ধা এবং সমর্থকদের মধ্যে এই ঘটনা ব্যাপক প্রতিক্রিয়া ও রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করে, যার ফলে ঢাকাসহ সারাদেশে বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিবাদ-সহ বিক্ষোভ ও উত্তেজনা শুরু হয়। ওসমান হাদি দেহ ফিরে আসার পর সমর্থকরা তাকে “ন্যায়, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য জীবন উৎসর্গ করা সাহসী নেতা” হিসেবে স্মরণ করতে ব্যস্ত এবং তাঁর বিধ্বস্ত রাজনৈতিক ধারাকে জীবন্ত রাখার শপথ নিয়েছেন।
শরিফ ওসমান হাদীর রাজনৈতিক কর্মজীবন ও তীক্ষ্ণ সমালোচনামূলক ভাষা তাকে বাংলাদেশে আলোচিত ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছে, এবং তাঁর মৃত্যু দেশীয় রাজনীতি ও সামাজিক আন্দোলনে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে।





