কলাবাগানে নিজের বাসভবনে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে জুলহাসকে। জুলহাস ছিলেন রুপবান পুরুষ। তাকে অনেকদিন ধরেই সমকামী প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল হত্যাকারীদের একজন। কিন্তু রুপবান পুরুষ জুলহাস তার প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। এতে রেগে যান হত্যাকারী। এরপর দলবল নিয়ে জুলহাসের বাসায় এসে প্রথমে তাকে গণধর্ষণ করা হয় এবং পরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে এফ বি আই। আর এ প্রতিবেদনে উন্মোচিত হল জুলহাস হত্যা রহস্য। এফ বি আই এর ডাক্তার মিঃ র্যামেন্ডু সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, ধর্ষণ এর পরেই তাকে হত্যা করা হয়েছে, তাই তার রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, আর এতে জুলহাসের শরীরের ভিতরে ৭ জন ব্যক্তির শুক্রাণু পাওয়া যায়। এ থেকে ওই ৭ জন এর ডি এন এ সনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। ডি এন এ প্রতিবেদন তিনি বাংলাদেশে মেইল করেছেন। প্রথমে তারা নিজেরাই চেয়েছিলেন পুর্ন তদন্ত করতে, কিন্তু নিরাপত্তা ব্যবস্থা আমেরিকার চেয়েও বাংলাদেশে ভাল হওয়ায় এফ বি আই বাংলাদেশ পুলিশকে দায়িত্ব দিয়ে দেয়।
বাংলাদেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা বাসা এ ডি এন এ রিপোর্ট অত্যাধুনিক স্যাটেলাইট ক্যামেরায় পাঠিয়ে দেয় এবং স্যাটেলাইট ক্যামেরা তাদের ট্রেস করতে সক্ষম হয়। পরে তাদেরকে পুলিশ গ্রেফতার করে। কিন্তু ধর্ষণের ভয়ে কোন পুরুষ পুলিশ তাদের সাথে নেই, বরং তাদের পাহাড়া দেবার জন্য নারী পুলিশ নিয়োগ দেয়া হয়।
তবে তদন্তের কারণে পুলিশ তাদের ছবি প্রকাশ করে নি। পুর্ণ তদন্ত হলে সংবাদ সম্মেলনের আয়জন করে সবাইকে জানিয়ে দেবে।
সমকামী গায়ক এলটন জন ও জর্জ মাইকেল এ সাতজন ব্যক্তির উপযুক্ত বিচার চেয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন। তারা আশা প্রকাশ করেছেন শেখ হাসিনা এদের সঠিক বিচার করবেন। তারা আগামি মাসে জয় এর সাথে এক বৈঠকের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। প্রয়োজনে তারা মার্কিন উকিল নিয়োগ দেবে ও এর সকল ব্যয় বহন করবে।
এ হত্যার সঠিক বিচার না হলে যুক্তরাষ্ট্রের সমকামী অধিকার সংস্থা ঈদের পরে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে।
-প্রেস বাংলাদেশ/রম্য রচনা/যুবাইর বিন ইকবাল