প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ভারতে ঘটা করে পালিত হয়েছে ইংরেজি নববর্ষ। লোকজন নানাভাবে এ রাতটি উদযাপন করেছে। তবে মাদক ও নারী নির্যাতন এর ঘটনা ঘটেছে প্রচুর। আশঙ্কাজনকভাবে ঘটেছে নারী নির্যাতন এর ঘটনা। এরকমই একজন আলোকচিত্রী চৈতালি ওয়ানসিক। এই তরুণী জানিয়েছেন, দুজন লোক তাকে শ্লীলতাহানি করার চেস্টা করলে তিনিও তাদের লাথি মারতে শুরু করেন। এসময়ে পাশেই পুলিশ ছিল, কিন্তু তারা কেউই এগিয়ে আসে নি। পরে কয়েকজন এগিয়ে এলে তারা চলে যায়।
কল্পনা পাল, যিনি পেশায় একজন সাংবাদিক, তিনি জানিয়েছেন, সংবাদ সংগ্রহের জন্য তিনি একটি বারের পেছনে যান, সেখানে কয়েকজন লোক মাতাল হয়ে বসে ছিল, তাদের মধ্যে থেকে একজন এগিয়ে এসে তাকে জাপটে ধরে। পরে তার ক্যামেরা মান মাধব তাকে মুক্ত করেন। কল্পনা পাল এ ঘটনায় বেশ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ২৫৬ টি অভিযোগ এসেছে। তারা সিসিটিভি ফুটেজ এবং সাংবাদিকদের ভিডিও ফুটেজ দেখে অপরাধীদের খুজে বের করার চেস্টা করছেন।
মুম্বাই পুলিশের কাছে ৮৪৫ টি অভিযোগ করা হয়েছে। তারা একটি তদন্ত দল গঠন করেছে, যাতে এসকল অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার করা যায়।
কলকাতা পুলিশের কাছে ৬৭৯ টি অভিযোগ আনা হয়েছে শ্লীলতাহানির। এর মাঝে রয়েছে একজন পতিতা, নন্দিনী দেবী। নন্দিনী দেবী পুলিশকে জানিয়েছেন, একজন লোক তাকে জোর করে তার সাথে যৌন কাজে লিপ্ত হয়েছে। তিনি পেশায় একজন পতিতা হলেও তারও রয়েছে অধিকার। আর এ কারণেই কলকাতা পুলিশ তার এ অভিযোগ আমলে নিয়েছে। নন্দিনী দেবী আরও জানিয়েছেন, তিনি ওই লোককে চেনেন, তার নাম অর্জুন ঠাকুর। তিনি এইচ আই ভি পজিটিভ। কলকাতা পুলিশের নির্দেশে নন্দিনী দেবীর শারীরিক পরীক্ষাও করা হচ্ছে এবং চিকিৎসকদের আদেশ দেয়া হয়েছে, তার সঠিক চিকিৎসা করতে।
বিগত বছরগুলোতে এত অভিযোগ কখনও আসে নি। তবে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়েছে, শ্লীলতাহানির ঘটনা আরও অনেক বেশি, অনেকেই পুলিশের কাছে অভিযোগ করে নি।
সমাজবাদী দলের বিধায়ক আবু আজমি ও কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বর বলেছেন, নারীদের ছোট পোশাকের কারণেই এমনটা হয়েছে। তাদের এ মন্তব্যের পরে, তাদের পদত্যাগের দাবী উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেও সাধারণ জনগণও তাদের এ মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
পাকিস্তানেও এ বছর বেশ ঘটা করেই উদযাপন করা হয়েছে থার্টি ফাস্ট, কিন্তু সেখানে কোন যৌন হামলার ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে ইসলামাবাদ পুলিশ।