বেচারা শাফিন আহমেদ, গরীব ঘরের ছেলে। রিকসা চালিয়ে সামান্য কিছু আয় হয়। তা দিয়ে কোনরকমে দিন যায় তার। একদিন বৃষ্টির দিনে তিনি নিয়ে যাচ্ছিলেন চৌধুরী সাহেব এর মেয়ে কায়নাতকে নিয়ে তার কলেজের দিকে। রিকশা চালক শাফিন বৃষ্টিতে ভিজে ভিজেই চালাচ্ছিল। চৌধুরী সাহেব এর মেয়ে হলেও গরীবের প্রতি তার মমতা ছিল তাই তিনি তার ছাতা বাড়িয়ে দিলেন রিকশা চালকের দিকে। ছাতা ধরতে গিয়ে তিনি ভুলে কায়নাত এর হাত ধরে ফেলেন। আর এতেই কায়নাত তার প্রেমে কাত হয়ে পরে।
শুরু হল এক অসম প্রেমের শুরু। কিন্তু ধনীর দুলাল কায়নাতকে পেতে হলেত নিজেকে শিক্ষিত করে তুলতে হবে। তাই শাফিনও শুরু করল পড়াশোনা। কলেজে এসে সে জেনেছে ইউটিউব আর ফেসবুকের কথা। দেখেছে প্রেমের প্রস্তাবের কিছু ভিডিও। তারও ইচ্ছে হল, এরকম কিছু করবে। কিন্তু সাহস হয় না। অবশেষে একদিন সাহস করেই তার নয়জন বন্ধু-বান্ধবকে নিয়ে প্রেমের প্রস্তাব করেই ফেললেন। দুনিয়াকে তোলপাড় করতেই তিনি ভিডিওটি দিয়ে দিলেন অনলাইনে। যথারীতি কলজের অধ্যক্ষ তা দেখে ফেলেছেন। কিন্তু তিনি তা মানতে পারলেন না। সুন্দরী চৌধুরী সাহেব এর মেয়েকে যে তিনি পছন্দ করে রেখেছিলেন নিজের ছেলে ডাবলুর জন্য। আর তাই পাড়ার মাস্তান ডাবলুর তার বাবাকে দিয়ে সবাইকেই খেয়ে দিতে নির্দেশ দিলেন। তিনিও সবাইকে খেয়ে দিলেন।
-প্রেস বাংলাদেশ/রম্য রচনা/যুবাইর বিন ইকবাল