যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য সংস্থা ইউএসএআইডির কর্মকর্তা জুলহাজ মান্নান ও বন্ধু মাহবুব তনয়কে জুলহাজ এর নিজস্ব বাসভবন খুন করা হয় চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে। এ হত্যাকান্ডে সাতজন অংশগ্রহণ করেছে। তারা নিজদেরকে কুরিয়ার সার্ভিসের লোক বলে পরিচয় দিয়ে তার বাসভবনে প্রবেশ করে। এরপর তাদের দুজনের উপরে এলোপাতারি কুপিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। পুলিশের সামনে দিয়েই হত্যাকারীরা স্থান ত্যাগ করে। এ সময়ে একজনের কাছ থেকে পুলিশ একটি ব্যাগ নিতে সক্ষম হলেও তাদের ধরতে পারে নি পুলিশ। এএসআই মমতাজ এসময়ে আহত হন, একজন হত্যাকারীর আঘাতে। কে বা কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, এবং কেন ঘটিয়েছে, এ ব্যাপারে কোন তথ্য এখন পর্যন্ত পুলিশ জানাতে পারে নি। উদ্ধার করা ব্যাগে একটি দেশি ও একটি বিদেশি পিস্তল, গুলি, চাপাতি, একটি গামছা, একটি লুঙ্গিসহ নয় ধরনের আলামত পাওয়া গেছে।
তবে পুলিশের ধারণা, আর্থিক লেনদেন নিয়ে এ হত্যাকান্ড ঘটে থাকতে পারে। আবার জঙ্গি তৎপরতাও থাকতে পারে। তারা এ দুটো বিষয়কে মূলত সামনে রেখেই এ হত্যা রহস্য উদ্ধার করতে যাবে। তবে এর মধ্যে আরও কারণ থাকতে পারে। তদন্তের স্বার্থে পুলিশ এখন কিছু জানাবে না। পারিবারিক দ্বন্দ্ব থেকেও এ হত্যাকান্ড হতে পারে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, বেশ কিছু গুরুত্বপুর্ন আলামত তারা পেয়েছেন। এখন সঠিক তদন্ত করলেই জানা যাবে।
আল-কায়েদা ভারতীয় উপমহাদেশের (একিউআইএস) কথিত বাংলাদেশ শাখা ‘আনসার আল ইসলাম’-এর হত্যার দায় স্বীকার করেছে। তবে পুলিশের কথা, এ ধরণের দায় সাধারণত তারা নিয়ে থাকে শুধুমাত্র নিজেদের সুবিধা আদায় করতে। বাস্তবে এর সত্যতা কতটুকু, তা তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত জানা যাবে না।
নিহত জুলহাজ মান্নানের ভাই মিনহাজ মান্নান একটি হত্যা মামলা করেছেন। ঘটনার সময় ঘটনাস্থলের কাছে দায়িত্ব পালন করা উপপরিদর্শক (এসআই) শামীম আহমেদ সরকারি কাজে বাধা ও অস্ত্র আইনে আরও একটি মামলা করেছেন।
সমকামীদের অধিকার নিয়ে প্রকাশিত রুপবান পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন জুলহাজ।