এপারে খড়খড়ে মাঠে একটা সবুজ ঘাস উদাস গরুকে খেয়ে ফেললো
ওপারে পাহাড়টি বুঝল না সমতলের বিস্তীর্ণ রুক্ষ যন্ত্রণা নিয়ে চলা নদীটিকে
ভাবনার দোটানায় একটা দুরন্ত ল্যাজঝোলা পাখির
চোখা ঠোঁট থেকে খসে পড়ল আমিষসমৃদ্ধ একটি তারা
যদিও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ সবার চোখ এড়ানোর কথা ছিল
তদুপরি পক্ষীশ্রেণী যথাযথ স্বভাবে বেসুরো উপহাসে ডেকে উঠল!
নিয়মানুযায়ী তারাটির পয়সা হয়ে পড়ার কথা ছিল
রহস্যনায়ক শিশুটির সব্যসাচী প্রবণতায়;
বেমানান রসিকতায় ছোঁ মেরে পড়ন্ত বস্তুর হিসাব
গড়বড়ে করে শূন্যে অস্থির ঝুলে রইল ফিঙে পাখির সাদা ছায়া!
তখন শঙ্কাহীন শীতের মেঘে অযাচিত কুয়াশা এসে শিশিরের মত
বুট ঠুকে শৈত্যপ্রবাহের ডাকাতির গল্প শোনায়
যেহেতু এ সংক্রান্ত পরিক্রমা ছাতিমের সামলানোর কথা
অতএব আড়মোড়া ভেঙ্গে মাথা চুলকায় নির্বোধ ডালগুলো!
অথচ কচুরিপানাপূর্ণ অবহেলিত ত্রিমাত্রিক আকাশ এসবই
নিয়মিত লক্ষ্য করে অর্থপূর্ণ ব্যাখ্যায় শুকিয়ে চৌচির ফেটে গিয়ে
দাউদাউ নীলিমায় সূর্যের বুকে তেষ্টা বাড়ায়
অলক্ষ্যে ছ্যাত করা শীতলতায় আর্কটিকের নির্বাসিত বরফ
টলটলে দুঃখকে স্বাগত জানিয়ে সবকিছু বেমালুম চেপে গিয়ে
গড়িয়ে উঠে যায় সহমরণ রথে
এখানে কোন অবকাশযাপন নেই, ধুম্রবাজির হৈহুল্লোড় নেই,
ছন্দ উপচানো কাব্যসমগ্র নেই!
এখানে আছে পাঁচশ কোটি বছর ধরে উত্তর থেকে দক্ষিণে
ক্ষয়ে যাওয়া মাটির প্রলেপ আর প্রলেপের আবরণে স্তরীভূত
বিস্ময়াহত মানবের প্রিয় পাপসমৃদ্ধ বর্ণীল কঙ্কাল।
-হাফিজ আসাদ অঙ্কন