ব্যবসায়ী আবদুল গফুরকে অপহরণ করার পরে তার পরিবারের নিকট থেকে পঞ্চাশ লাখ টাকা দাবী করে অপহরণকারীরা। পরে অপহরণকারীদের সাথে ১৭ লাখ টাকা দেবার কথা বলা হয় এবং তাদের সে টাকা দেয়া হয় চট্টগ্রামের মেরিন ড্রাইভ এলাকায় এবং আব্দুল গফুরকে সেখানেই ছেড়ে দেয়া হয়। তবে টাকা দেয়ার আগে পরিবার সেনাবাহিনীর সাথে কথা বলে। টাকা দেয়ার পরে তারা সেনাবাহিনীকে বিষয়টি জানায়। এরপরে সেনাবাহিনী অপহরণকারীদের গাড়ী আটকায়। আটক করা হয় ৭ জনকে এবং উদ্ধার করা হয় মুক্তিপণ হিসাবে দেয়া ১৭ লাখ টাকা। তবে একজন পালিয়ে যায়। এরপর জানা যায়, আটক ৭ জনই ডিবি পুলিশের সদস্য এবং পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিটি হচ্ছে ডিবি পুলিশের এস আই। আটক হবার পরে পুলিশের একজন উর্ধতন কর্মকর্তা এসেছিলেন তাদের ছাড়িয়ে নিতে, কিন্তু সেনাবাহিনী তা করে নি। আটক ৭ জন এর বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এ ঘটনার পর পরই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে সাধারণ মানুষ তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুলের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। আবদুল গফুর এর পরিবার আক্ষেপ করে বলেছেন, রক্ষক যখন ভক্ষকের ভূমিকায়, তখন শুধুমাত্র হতাশা ছাড়া আর কিই বা আছে। তবে তারা কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর প্রতি, যাদের কারণেই জঘন্য অপরাধ করা এ পুলিশের লোকদের আটক করা সম্ভব হয়েছে।