পত্রিকার পাতা উল্টালেই, চারদিকে শুধু কান্না, দুঃখ আর কষ্ট। কিন্তু এভাবে আর কতকাল? সবাই কি শুধু মানুষকে দুঃখ দেবে? কেও কি নেই, যে মানুষের মুখে একটু হাসি ফোটাবে? একটু হাসির কথা বলবে অথবা সুন্দর একটু হাস্যকর অভিনয় করবে। অল্প কজন আছেন। সেই চার্লি চ্যাপ্লিন, মিঃ বিন। তারা ছিলেন, তারা অমর। আজও আমরা তাদের কাজ দেখে প্রাণ খুলে হাসি। তাদের দেখানো সে পথে আজ হাঁটছে কিছু তরুণ, যারা চেষ্টা করছেন, কিছু একটা করতে, যাতে এই মানুষগুলোকে একটু হাসানো যায়। এরকমই কজন তরুণ আনিস, ঈশতি, জুনায়েদ, অনু ও রেজওয়ান। তারা পাঁচ জন মিলে তৈরি করেছে ইউটিউব চ্যানেল “ডি নকার্স”(D knockers)। তারা মূলত তৈরি করেন প্রাঙ্ক ভিডিও। যদিও এর পাশাপাশি সামাজিক সচেনতনা ও গৃহহীন মানুষদের নিয়ে কাজ করেন।
প্রাঙ্ক দেখতে অনেক মজার। কিন্তু এটা তৈরি করা যে কত ঝুকিপুর্ণ, তা অবশ্য অনুমেয়। বিশেষ করে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে এটা অত্যন্ত ঝুকিপুর্ণ। তারপরও সাধারণ মানুষদের মুখে একটু হাসি ফোটানোর জন্য তাদের এ প্রচেষ্টা। “ডি নকার্স” সদস্য আনিস জানালানে, তাদের উদ্দেশ্য হল, শত ব্যস্ততার ভীরে মানুষজন ক্লান্ত এবং নানা অসচেতনতার কারণে বিমর্শহ হয়ে পরে সেই বিমরসশতা কাটিয়ে তাদের মুখে একটু হাসি ফটানোইই ডি নকার্সের কাজ।। প্রথমদিকে তাদের এ পাগলামি সাধারন্মানুশ গ্রহণ না করলেও এখন কিছু মানুষের উৎসাহে আগামি দিনগুলোতে আর ভালভাবে প্রাঙ্ক করার প্রেরনা পেয়েছে বলে জানিয়েছেন আনিস। একটি সুন্দর প্রাঙ্ক তৈরি করাটা যেমন কষ্টকর, তেমনি বেশ ব্যয়বহুল। কঠোর মনবল এবং নিজেদের পকেটের টাকা খরচ করেই তারা তা তৈরি করছেন। ইদানিং তারা বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের স্পন্সরও পাচ্ছেন যাদের মাঝে আসুস বাংলাদেশ। ভবিস্যত পরকল্পনার কথা জিজ্ঞাসা করলে ডি নকার্সের মূল পরিকল্পনাকআরী আনিস জানান, ডি নকার্স্কে শুধুমাত্র একটি প্রাঙ্ক চ্যানেল হিসাবে নয়, বরং একটি ব্রান্ড হিসাবে দেখতে চাই।
তাদের সাফল্যের জন্য তিনি কৃতজ্ঞ তার দর্শকদের কাছে। যাদের ভালবাসা তাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়তা করে।