‘International Water Color Society’ দ্বারা নির্বাচিত বিশ্বের ১১তম শ্রেষ্ঠ জলরঙ চিত্রশিল্পী ডাঃ দেবব্রত আইচ মজুমদার। ফটোগ্রাফি, বক্তৃতা, জ্যোতির্বিদ্যা, কবিতা আবৃতি, হস্তবিদ্যা, অভিনয় প্রভৃতির দিকে ঝোঁক ছিল তার সেই ছোটবেলা থেকেই। ঢাকা আর্ট কলেজের কিংবদন্তি চিত্রশিল্পী শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন এর ছাত্র এই দেবব্রত। স্কেচ করে দেবব্রত গোল্ড মেডেল পেয়েছিলেন ১৯৯৫ সালে। ময়মনসিংহ মুসলিম ইন্সটিটিউটে ১ম পুরস্কার পেয়েছিলেন উপস্থিত বক্তৃ্তার জন্য। নকিয়া ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতা ২০০৮ এর বিজয়ী ছিলেন তিনি। এরকম আর অসংখ্য পুরষ্কার তিনি পেয়েছেন। ১৯৮৬ সালে, কিশোরগঞ্জ জেলার কাঁঠালতলী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ময়মনসিংহের বিখ্যাত সরকারি ল্যাবরেটরি হাই স্কুল থেকে এস এস সি শেষ করে তিনি ঐতিহ্যবাহী কে,বি,আই, কলেজে গমন করেন। এরপরে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ২০০৩ সালে তিনি চিকিৎসক হবার ব্রত নিয়ে ডাক্তারি পড়াশোনা শুরু করেন। পড়াশোনার পাঠ শেষ করে তিনি মেডিকেল অফিসার হিসেবে যোগ দেন। অসাধারণ এ জলরঙের শিল্পী সময় দিয়েছেন প্রেস বাংলাদেশ কে। সাথে ছিলেন যুবাইর বিন ইকবাল। আড্ডার ফাকে তার কাছ থেকে শোনা গিয়েছে তারা নানা জানা অজানা দিক। পাঠকদের জন্য তারই নির্বাচিত অংশ
প্রশ্নঃ দেশ গঠনে কি কি করতে চান?
দেবব্রতঃ দেশ গঠনে প্রথমে দরকার সুন্দর নীতিমালা। নীতিমালা হওয়া উচিত দেশের প্রয়োজন অনুযায়ী। রাজনৈতিক দৃষ্টিকোন থেকে নয়। দ্বিতীয়ত, দেশের মানুষের মানসিকতার পরিবর্তন খুব বেশি দরকার, দরকার সহনশীলতার।
ব্যক্তিগতভাবে কিছু করা কঠিন আমাদের দেশে। হয়ত ১টা স্কুল দিলাম বা ১টা হাসপাতাল-যাতে বিনামূল্যে পড়ালেখা বা সেবা মানুষ পেতে পারে,কিন্তু দেশগঠনে দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিবর্গের সহযোগিতা কাম্য।
প্রশ্নঃ সমাজে এখন অবক্ষয়, অপরাধ অনেক বেশি। এগুলো কমাতে কি পদক্ষেপ নেয়া উচিৎ বলে আপনি মনে করেন।
দেবব্রতঃ সামাজিক মূল্যবোধ ছোটবেলা থেকে শেখানো জরুরী,বিশেষ করে পরিবারের ছেলেদেরকে। সঠিক ধর্মীয় শিক্ষা খুব প্রয়োজন। ইন্টারনেট এর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
প্রশ্নঃ বাংলাদশকে কোথায় নিয়ে যেতে চান?
দেবব্রতঃ আমি বাংলাদেশি। এটা আমার সবচেয়ে বড় পরিচয়। তাই দেশের উন্নতি আমার কাম্য। আমাদের দেশকে উন্নত দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করেছে, এমন অবস্থায় নিয়ে যেতে চাই। জানি এটা অনেক কঠিন ব্যাপার, তবুও আশা ছাড়ছি না।
প্রশ্নঃ আপনি একজন সফল চিকিৎসক। এর পাশাপাশি জল রঙ দিয়ে আঁকেন অসাধারন ছবি। ঠিক কিভাবে আবিষ্কার করলেন নিজেকে একজন শিল্পী হিসাবে?
দেবব্রতঃ আসলে শিল্পী স্বত্তাটা আমার ভেতরেই ছিল বোধহয়। আমার বাবা,পরলোকগত সত্যরঞ্জন আইচ মজুমদার বাংলাদেশ কৃষিবিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার ছিলেন। কিন্তু তিনি ময়মনসিংহের একজন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। বেশ কিছু পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।স্কুল প্রতিষ্ঠার সাথে জড়িত ছিলেন। ধ্রুপদী, লৌহিত্য,শুক্রবাসারীয় সাহিত্য সংসদ সহ বিভিন্ন সাহিত্য গোষ্ঠির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। সে হিসেবে বাসায় ১টি সাংস্কৃতিক পরিবেশ ছিল। দিদি গান করত আর আমি শিশু একাডেমি, মুসলিম ইন্সটিটিউট, শিল্পকলা একাডেমি প্রভৃতি জায়গায় যেতাম। মা আরতি বিষ্ণু নিয়ে যেতেন ওসব জায়গায়। সে হিসেবে নিজেকে শিল্পী হিসেবে আবিষ্কার করতে হয় নি।চিকিসক হবার আগে আমি শিল্পী।
প্রশ্নঃ চিকিৎসক হবার গল্পটা
দেবব্রতঃ সত্যি কথা বলতে আমার মেডিকেলে পড়ার ইচ্ছাই ছিল না। চেয়েছিলাম আর্কিটেকচার এ পড়তে। তাই মেডিকেল কোচিং এ যেতে ভালো লাগত না। তাই এমনও হয়েছে কোচিং এর ভাইয়ারা বাসায় এসে মডেল টেস্ট এর প্রশ্ন দিয়ে যেত। মাঝে মধ্যে রাগারাগি করত। তবে বকা ঝকা কখনও করেনি। যাই হোক ঢাকা মেডিকেলে চান্স হবার পর বাসার সবাই বলল তুই ময়মনসিংহে মাইগ্রেশন করে চলে আয়। আসলে তখন আমরা অত কিছু বুঝতাম না। কিন্তু তখনকার ঢাকা মেডিকেলের প্রিন্সিপাল, হোসনে আরা তাহমিনা মাডাম, আমাকে ডাকলেন। গালে হালকা করে থাপ্পড় দিলেন ( ম্যাডাম আমাকে আদর করতেন )।বললেন, গাধা… ঢাকা মেডিকেল ছেড়ে কেউ অন্যটাতে যায়? একদিন বুঝবি। তুই আবেদন করলেও আমি যেতে দিব না।
ম্যাডাম আমার আবেদন এ সই করেন নি। আমি ম্যাডামের কাছে কৃতজ্ঞ। এটাই চিকিৎসক হবার পেছনের গল্পটা।
প্রশ্নঃকোথায় শিখেছেন আঁকা?
দেবব্রতঃ ‘আঁকা হলো বাস্তবতাকে ঘিরে কল্পনার এক পৃথিবী,যেখানে আলো-ছায়াটা মূখ্য’-এটা গুরু অধ্যাপক মীর মোঃ রেজাউল করিম স্যার এর কথা;যিনি ঢাকা আর্ট কলেজে চিত্রশিল্পী শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন এর সরাসরি ছাত্র ছিলেন।তাঁর ঐ কথার উপর ভিত্তি করেই চিত্রকর জীবনের শুরু ২য় শ্রেণীতে।তবে প্রতিযোগিতায় প্রথম অংশগ্রহণ করা শুরু হয় ৩য় শ্রেণীতে উঠার পর।
স্যার ছিলেন বাবার বন্ধু। স্কুলে আঁকার ম্যাডামের কাছে আঁকা শিখতাম না বলে তিনি কম নাম্বার দিতেন। ফলে পরীক্ষায় ২য়/৩য় হয়ে যেতাম।স্যার এর কাছে যাবার পর আঁকা শেখা শুরু হল।আমাকে তখন পায় কে! ৩য় থেকে ১০ ম শ্রেনী পর্যন্ত প্রথম হয়েছিলাম। ওহ… ৯ম শ্রেনীতে উঠার সময় একবার ২য় হয়েছিলাম :3
স্যার আমাকে কখনো প্রথাগত ভাবে শেখান নি।কিন্তু তার সবটা দিয়ে আমাকে শিখিয়েছেন। চারুকলায় না পড়েও চারুকলার প্রায় সব ই স্যার আমাকে শিখিয়েছেন।
প্রশ্নঃ জল রঙকে কেন বেছে নিলেন?
দেবব্রতঃ জল রং সবচেয়ে কঠিন মাধ্যম, কিন্তু সেই সাথে সবচেয়ে সুন্দর মাধ্যম। এটা দিয়ে যে কত কিছু করা যায়…জল রঙ শিল্পীর হয়ে কথা বলে। আপনার কিছু করতে হবে না, রংটাকে সঠিক পথ দেখিয়ে দেন…ও নিজেই নিজের পথ বের করে নিবে। সেজন্যই এর প্রতি আলাদা ১টি দুর্বলতা আছে।
প্রশ্নঃ চিকিৎসক ও চিত্রশিল্পি হিসাবে আপনার বর্তমান কর্মব্যস্ততা কি?
দেবব্রতঃ কর্মব্যস্ততা অনেক বেশি।ডাক্তারির জন্য আঁকার সময় খুব ১টা পাই না।
প্রশ্নঃ চিকিৎসক ও চিত্রশিল্পি হিসাবে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?
দেবব্রতঃ ভবিষ্যত পরিকল্পনা তো অনেক আছে। ওতো তো বলা ঠিক নয় 🙂 তবে দেশের জন্য কিছু করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিকভাবেও কিছু করতে চাই।
প্রশ্নঃ এগুলোর পাশাপাশি আর কোন বিষয়ে আপনার আগ্রহ আছে?
দেবব্রতঃ হুম। ফটোগ্রাফি, বক্তৃতা, জ্যোতির্বিদ্যা, কবিতা আবৃতি, হস্তবিদ্যা, অভিনয়। অভিনয় এর প্রতি দুর্বলতা অনেক বেশি। যদিও এখন করা হয় না।আমি বাংলাদেশ শিশু একাডেমি,ময়মনসিংহ শাখার নাট্য দলের সদস্য ছিলাম। আমাদের কিছু নাটক টাউন হলেও প্রদর্শিত হয়েছিল।
প্রশ্নঃ নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
দেবব্রতঃ নিজেকে তো সবাই ভালো অবস্থানেই দেখতে চায়। আমিও। অন্তত চাই ভালো কিছু কাজ করে যেতে, যাতে মানুষ মনে রাখে।
প্রশ্নঃ কি ধরনের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখিন হয়েছেন?
দেবব্রতঃ প্রতিবন্ধকতা তো ছিলই। এত ঝামেলার মুখোমুখি হয়েছি জীবনে যে সেগুলো দিয়ে কয়েকটা উপন্যাস হয়ে যাবে :3 এখন অবস্থা এমন হয়েছে যে কাউকে বিশ্বাস করাটাও দায়।মানুষ অন্যকারো ক্ষতি করার জন্য নিজের ক্ষতি করতেও পিছপা হয় না।
প্রশ্নঃ নেতিবাচক কিছু পেলে কিভাবে সামলে নেন নিজেকে?
দেবব্রতঃ চেষ্টা করি নিজেকে বোঝাতে। এটাই জীবন। সবাই তোমাকে সম্মান দিবে বা বুঝবে বা সাহায্য করবে সেটা সম্ভব নয়।
প্রশ্নঃ ভক্ত ও দর্শকদের কিভাবে সামাল দেন?
দেবব্রতঃ আমি কেন জানি নীরব হয়ে গেছি। তাই সামলাতে হয় না। ওরকম কোন পরিস্থিতি কখনো হয় নি।তবে চেষ্টা করি কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলে তার উত্তর দিতে।
প্রশ্নঃ কাকে আদর্শ মনে করেন এবং কেন?
দেবব্রতঃ বাবার মত সৎ থাকতে চাই। আর ভিঞ্চি, মাইকেল এঞ্জেলো, ক্লদ মনেট,দালি,শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন,পিকাসো,সতীশ,হাশেম খান-উনাদের সবার মত আঁকতে চাই , যদিও সম্ভব নয় কারণ, এক এক জনের আঁকার স্টাইল এক এক রকম, কিন্তু সবারটাই unique।
প্রশ্নঃ এমন কিছু আছে যার প্রতি বিশেষ দুর্বলতা এবং কেন?
দেবব্রতঃ সৌন্দর্য, কারন জানি না।
প্রশ্নঃ নিজের দুর্বলতা কি কি এবং কেন একে দুর্বলতা মনে করেন?
দেবব্রতঃ হঠাত করে রেগে যাওয়া, কারণ এতে ক্ষতি হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে, সম্প্রীতি কমার সম্ভাবনা থাকে, ভুল বুঝা-বুঝি বেড়ে যায়।
প্রশ্নঃ অবসরে কি করেন সাধারণত?
দেবব্রতঃ সিনেমা দেখি। আগে বই পড়তাম। এখন আর পড়া হয় না।
প্রশ্নঃ খেলাধুলা করেন?
দেবব্রতঃ আগে করতাম নিয়মিত। এখন মাঝে মধ্যে সুযোগ পেলে মাঠে নেমে যাই।
প্রশ্নঃ সেলফি তোলার সময়ে সাধারনত মুখ কোন দিকে বাকা করেন?
দেবব্রতঃ সেলফি তোলা হয় নআ।
প্রশ্নঃ আচমকা কোন বিপদে পড়লে কি করবেন?
দেবব্রতঃ চেষ্টা করব নিজের বুদ্ধিকে কাজে লাগাবার, যতটুকু পারা যায় আর কি !
প্রশ্নঃ কোথায় ঘুরতে পছন্দ করেন এবং সাথে কাকে নিতে পছন্দ করেন?
দেবব্রতঃ সাগর, পাহাড়- দুইটাই ভালো লাগে। মাকে । তাছাড়া আপাতত কেউ নেই নিয়ে যাবার।
প্রশ্নঃ অপছন্দের বিষয় কি?
দেবব্রতঃ মিথ্যা কথা বলা ও কথা দিয়ে কথা না রাখা।
প্রশ্নঃ কি দেখে সবচেয়ে বেশি ভয় পান এবং কেন ভয় পান?
দেবব্রতঃ জানি না ঠিক।
পশ্নঃ এমন একটি কথা, যা কেও জানে না এখন পর্যন্ত।
দেবব্রতঃ বললে তো বলাই হয়ে গেল।
পশ্নঃ কোন লুকানো কষ্ট?
দেবব্রতঃ আছে। কিন্তু বলতে চাচ্ছি না।
পশ্নঃ জীবনের সবচেয়ে আনন্দ ও কষ্টের মুহুর্ত কি কি ছিল?
দেবব্রতঃ সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত ১৯৯৫ সালে সারা দেশের মধ্যে আঁকাতে প্রথম হওয়া। কোনটা যে সবচেয়ে কষ্টের মুহূর্ত তা এ মুহূর্তে বলতে পারছি না।
প্রশ্নঃ প্রথম প্রেম কার সাথে?
দেবব্রতঃ কারও সাথেই এখনো হয় নি।
প্রশ্নঃ এমন কেও আছে, যাকে বিয়ে করতে পারেন নি বলে কেদেছিলেন? নীরবে ফেলেছিলেন চোখের পানি?
দেবব্রতঃ নাহ।
প্রশ্নঃ প্রথম ক্রাশ কে ছিল?
দেবব্রতঃ একজন মেয়ে।
প্রশ্নঃ কে সেই মেয়ে? সানি লিওন?
দেবব্রতঃ হাহা হাহা। তবে সানি অনেক সুন্দরী।
প্রশ্নঃ কোন তারকার সাথে ডেটিঙে যেতে চান এবং কেন?
দেবব্রতঃ তেমন কেউ নেই। কারন যাওয়া সম্ভব না।
প্রশ্নঃ ধরুন সানি লিওন আপনাকে নয়ে যেতে চাইল, কি করবেন?
দেবব্রতঃ বিষ খাব!
প্রশ্নঃ কি খেতে পছন্দ করেন?
দেবব্রতঃ ভাত, ডাল আর কিছু বিশেষ রেসিপি। ফাস্ট ফুড খাওয়া হয় না খুব একটা
প্রশ্নঃ পছন্দের রঙ?
দেবব্রতঃ নীল, নীলচে সবুজ।
প্রশ্নঃ নিজের ভেতরে কি মুদ্রাদোষ খুজে পান?
দেবব্রতঃ রেগে যাওয়া, মানুষকে বিশ্বাস করা
প্রশ্নঃ লটারীতে এক কোটি টাকা পেলে কি করবেন?
দেবব্রতঃ ব্যাংকে অর্ধেক রাখব। বাকি অর্ধেক এর কিছু দরকারি কাজে লাগাবো, বিভিন্ন দেশ ভ্রমনে যাব।
প্রশ্নঃ পুরনো প্রেমিকের সাথে দেখা হলে কি করবেন?
দেবব্রতঃ ছিল না কখন। আমারতো আর সালমান খান এর বডি নেই। বিল গেটস এর মত গাড়িও নেই।
প্রশ্নঃ নিজের পাঁচটি বদভ্যাসের কথা বলুন।
দেবব্রতঃ ঘুমের মধ্যে মাঝে মধ্যে নাক ডাকা, ঘুমের মধ্যে কেউ ডাকলে বিরক্ত হওয়া, হঠাত রেগে যাওয়া, হঠাত করে সিদ্ধান্ত নেয়া, কাউকে কষ্ট দিতে না চাওয়া।
প্রশ্নঃ তেলাপকা নাকি টিকটিকি, কোনটিকে বেশি ভয় পান? নাকি অন্য কিছু?
দেবব্রতঃ কোনটিই না. তবে মাকড়সা দেখলে মাঝে মধ্যে কেমন জানি লাগে।
প্রশ্নঃ নতুনদের জন্য কোন পরামর্শ
দেবব্রতঃ প্রতিভা থাকলেই হয় না, তার বিকাশ দরকার। শুধু কষ্ট করলেই হয় না, ভাগ্যও লাগে। সফলতার কোন সংক্ষিপ্ত রাস্তা নেই।কষ্ট করে উপরে উঠলে সেই সাফল্যের প্রতি মমতা থাকে।
মানুষ তোমাকে বাধা দিবে, কিন্তু আর মাঝেই চেষ্টা করতে হবে।
‘Debobrata’s world of dream‘ নামে আঁকার একটি পেজ আছে যেখানে আপনি দেখতে পারেন, এই শিল্পির অসাধারণ সব সৃষ্টি।