গ্রেপ্তার হল ওবায়দুল। নীলফামারী থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এ বখাটেকে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে রাজধানীর কাকরাইলের উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের ছাত্রী সুরাইয়া আক্তার রিসা (১৪) কে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। রিসার বাবা মা, শুধুমাত্র ওবায়দুলকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেছে।
পরীক্ষা শেষে স্কুলের সামনের পদচারী-সেতু দিয়ে সড়কের ওপারে যাওয়ার সময় বখাটে ওবায়দুল তাকে নির্মমভাবে ছুরিকাঘাত করে। হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর আগে রিসা পুলিশকে জানিয়েছিল, ওবায়দুল তাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে।
এক বছর আগে ওবায়দুলের দোকানে জামা বানাতে গেলে দোকানের রশিদ বইয়ে মোবাইল নাম্বার ও ঠিকানা দেয়া হয়। আর এর পর থেকেই ওবায়দুল রিসাকে বিভিন্ন সময়ে উত্যক্ত করতো। একপর্যায়ে রিসার বাবা-মা পুলিশকে জানায়। আর এর পরেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে ওবায়দুল।
এ বখাটে ওবায়দুলের গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের মিরাটঙ্গী গ্রামে। তাঁর বাবা আবদুস সামাদ, জিনি প্রায় দু বছর আগে ইহলোক ত্যাগ করেন।
ওবায়দুল এর শাঁস্তির দাবীতে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের সকলেই রাজপথে নেমে আসেন।
তবে রিসার বাবা-মা স্কুলের প্রধান শিক্ষককে অভিযুক্ত করেছেন, আহত হবার পরে রিসাকে দ্রুত হাসপাতালে না নেয়ার জন্য। তাকে দ্রুত হাঁসপাতালে নেয়া হলে, হয়ত, রিসাকে বাঁচানো যেত। স্কুল প্রাঙ্গনে থাকা, স্কুল এর মাইক্রোবাস দিতে অস্বীকার করেন তিনি। এমনকি তিনি রিসাকে হাঁসপাতালে নেয়ার ব্যবস্থাও করেন নি। পরে স্কুলের অন্যান্য শিক্ষার্থীরা তাকে রিকশায় করে হাঁসপাতালে নিয়ে যান।