শাঁবিপ্রবির ছাত্রলীগ সহ-সম্পাদক বদরুল চাপাতি দিয়ে এলপাতারিভাবে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করেছে সিলেট মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিসকে। আহত নার্গিস ঢাকা স্কয়ার হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে। নার্গিসের অস্ত্রপচার সম্পন্ন হয়েছে। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ৭২ ঘন্টা অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত কিছুই বলা যাচ্ছে না। স্কয়ার হাসপাতালের নিউরো সার্জন ডা. এ এম রেজাউস সাত্তার জানিয়েছেন, অস্ত্রোপচারের পর তার বাঁচার সম্ভাবনা অনেক কম। কেননা তিনি ব্রেইনে আঘাত পেয়েছেন। তাকে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে রাখা হয়েছে।
নৃশংস এ হামলার ভিডিও ধারণ করে স্থানীয় লোকজন। ভিডিও চিত্র ছড়িয়ে পরলে অন্য শিক্ষার্থীরা তাকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। পুলিশ তাকে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাঁসপাতালে নিয়ে যায়।
নার্গিসদের বাড়িতে লজিং থাকতেন বদরুল। তাদের মধ্যে প্রেম ছিল বলে দাবি করেছে বদরুল। কিন্তু কিছুদিন আগে নার্গিস তাকে প্রত্যাখ্যন করে। শাবিপ্রবির কয়েকজন ছাত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, বদরুল ছিল হিংস্র ও নেশাগ্রস্ত। ছাত্রলীগ ক্যাডার হওয়ার কারণে কেও তাকে কিছু বলার সাহস পেত না। ক্যাম্পাসে সে ত্রাস সৃষ্টি করে রেখেছিল। সাধারণ ছাত্রদের কাছ থেকে সে নিয়মিত চাঁদা আদায় করত।
তবে সাধারণ মানুষের আশঙ্কা, টাকা ও রাজনৈতিক ক্ষমতার দাপটে বদরুল মুক্তি পেয়ে যাবে।