ফিরোজ আল সাবাহ ১৯৯০ সালে জন্ম নিয়েছেন এ দেশের পাখিদের জন্য নিজের জীবনকে বিলিয়ে দিতে। পেয়েছেন “DUPS National Photography Festival” এ প্রথম পুরষ্কার। এছাড়াও অর্জন করেছেন আরও বেশ কয়েকটি পুরষ্কার। প্রায় পনেরটি প্রদর্শনী স্থান পায় তার অসাধারণ সব ছবি। লেখালেখি করেন বাংলার পাখি ম্যগাজিনে। তিনটি ছবি প্রকাশিত হয়েছে “National Geographic Birdwatch Magazine” এ। প্রেস বাংলাদেশের সাথে এক আড্ডায় তিনি জানিয়েছেন অনেক কথাই। সাথে ছিলেন প্রেস বাংলাদেশ প্রতিবেদক যুবাইর বিন ইকবাল। পাঠকদের জন্য নির্বাচিত অংশ।
প্রশ্নঃ কতদিন হল ফটোগ্রাফি শুরু করেছেন?
ফিরোজ আল সাবাহ: 5 বছর
প্রশ্নঃ শুরু করার পেছনের কারণ?
ফিরোজ আল সাবাহ: ছোট বেলা থেকেই ক্যামেরার প্রতি ভালবাসা ছিল। ছোট বেলায় ফিল্ম ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলতাম। ২০১১ সালে ডিএসএলআর কেনার পর থেকে মুলত ফটোগ্রাফি শুরু হয়। পাখিদের প্রতি ভালোবাসা থেকে ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফি শুরু।
প্রশ্নঃ ফটোগ্রাফি নিয়ে প্রাতিশঠাকনিক শিক্ষা?
ফিরোজ আল সাবাহ: নেই।
প্রশ্নঃ আপনার বর্তমান কর্মব্যস্ততা
ফিরোজ আল সাবাহ: বর্তমান মহাবিপন্ন মদনটাক/Lesser Adjutant ও শেখ ফরিদ/Black Frankolin নিয়ে কনজারভেশন ও ডকুমেনটারি তৈরি করছি। আই ইউ সি এন এ “White rumped Vulture conservation project” নিয়ে ব্যস্ত।
প্রশ্নঃ ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
ফিরোজ আল সাবাহ: ওয়াইল্ড লাইফ নিয়ে কাজ করা। বাংলাদেশের পাখিদের মানসম্পন্ন ফটোগ্রাফিক একটি ডাটাবেজ তৈরি করা।
প্রশ্নঃ নতুনদের জন্য কিছু পরামর্শ
ফিরোজ আল সাবাহ: “Never give up”
প্রশ্নঃ বন্যপ্রাণী সংরক্ষনে বিশেষ করে বিল্পুপ্ত প্রায় প্রানীদের জন্য আপনার মতে কি কি করা উচিৎ?
ফিরোজ আল সাবাহ: জনগণের মাঝে ব্যাপক গনসচেতনতা , বন্যপ্রাণী পরিবেশ এর ভারসাম্য বজায় রাখতে কি কি ভুমিকা পালন করে তা বোঝানো । শিকারীদের প্রতিহত করা । সরকারকে আরো আগ্রহী হতে হবে।
প্রশ্নঃ নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
ফিরোজ আল সাবাহ: একজন সফল ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফার হিসেবে নিজেকে দেখতে চাই, পাশাপাশি বন্যপ্রাণী সংরক্ষন নিয়ে কাজ করে যেতে চাই।
প্রশ্নঃ কি ধরনের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখিন হয়েছেন?
ফিরোজ আল সাবাহ: অনেক যেমন পারিবারিক যদিও এখন আর সমস্যা নেই , আর্থিক । ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফির বাজার আমাদের দেশে নেই বললেই চলে । তাই এটিকে পেশা হিসেবে নেয়ার ইচ্ছে থাকেলও উপায় নেই।
প্রশ্নঃ এ থেকে আয় করেন? করলে কিরকম আয় হচ্ছে?
ফিরোজ আল সাবাহ: যা আয় হয়, তার চেয়ে ছবি তোলায় ব্যয় অনেক বেশি। বন জঙ্গলে ঘুরে বেড়ানো, রাত কাটানো, বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া।
প্রশ্নঃ কোথায় কোথায় কাজ করেছেন?
ফিরোজ আল সাবাহ: IUCN ও বন বিভাগ।
প্রশ্নঃ ক্লায়েন্ট ফিডব্যাক কেমন?
ফিরোজ আল সাবাহ: এখন পর্যন্ত ভাল। চেষ্টা করব এটাকে ধরে রাখতে।
প্রশ্নঃ কাকে আদর্শ মনে করেন?
ফিরোজ আল সাবাহ: টিম ল্যেমান (ইউ এস এ)
প্রশ্নঃ পছন্দের বিষয় কি এবং কেন?
ফিরোজ আল সাবাহ: ছবি তোলা, বই পড়া, ট্রাভেল করা, মুভি দেখা। কারণ এইসব থেকে আমি সবচেয়ে বেশি শিক্ষা নিতে পাড়ি জীবন সম্পর্কে।
প্রশ্নঃ নিজের দুর্বলতা এবং কেন একে দুর্বলতা মনে করেন?
ফিরোজ আল সাবাহ: অল্পে রেগে যাই, খুব বেশী অলস। এইসব আমার কাজের গতি কমিয়ে দেয়।
প্রশ্নঃ অবসরে কি করেন সাধারণত?
ফিরোজ আল সাবাহ: মুভি দেখি বই পড়ি।
প্রশ্নঃ কোথায় ঘুরতে পছন্দ করেন এবং সাথে কাকে নিতে পছন্দ করেন?
ফিরোজ আল সাবাহ: জঙ্গলে, পছন্দের কিছু ওয়াইল্ডমেট এর সাথে।
প্রশ্নঃ পছন্দের খাবার?
ফিরোজ আল সাবাহ: মায়ের হাতের আলু ভর্তা।
প্রশ্নঃ অপছন্দের বিষয় কি?
ফিরোজ আল সাবাহ: অহংকার।
প্রশ্নঃ কি দেখে সবচেয়ে বেশি ভয় পান? কেন ভয় পান?
ফিরোজ আল সাবাহ: মানুষ দেখে, কারণ পৃথিবীতে মানুষের চেয়ে আর হিংস্র প্রাণী নেই।
পশ্নঃ এমন একটি কথা, যা কেও জানে না এখন পর্যন্ত।
ফিরোজ আল সাবাহ: বলে ফেললে সবাই জেনে ফেলবে।
পশ্নঃ কোন লুকানো কষ্ট?
ফিরোজ আল সাবাহ: বলে ফেললে তো আর লুকানো থাকবেনা।
পশ্নঃ জীবনের সবচেয়ে আনন্দের মুহুর্ত ও কষ্টের মুহুর্ত কি ছিল?
ফিরোজ আল সাবাহ: মা যখন হাসেন।
প্রশ্নঃ প্রথম প্রেম কার সাথে?
ফিরোজ আল সাবাহ: কিছু কথা থাক না গুপনে গুপনে।
প্রশ্নঃ প্রথম ক্রাশ কে ছিল?
ফিরোজ আল সাবাহ: আসেন কানে কানে বলি।
প্রশ্নঃ কোন তারকার সাথে ডেটিঙে যেতে চান এবং কেন?
ফিরোজ আল সাবাহ: গাল গাদত(ইসরায়েল)
প্রশ্নঃ কি দেখলে সবচেয়ে বেশি রেগে যান?
ফিরোজ আল সাবাহ: পাখি শিকার।
প্রশ্নঃ কেমন দুষ্ট ছিলেন ছোটবেলায়?
ফিরোজ আল সাবাহ: খুব বেশি।
প্রশ্নঃ বাথরুমে সাধারণত কি ধরনের গান গেয়ে থাকেন?
ফিরোজ আল সাবাহ: ইদানিং “আমাকে আমার মত থাকে দাও” গাই। এই ধরনের গান আর কি।
প্রশ্নঃ চলচ্চিত্রে অভিনয় করলে কার বিপরীতে অভিনয় করার ইচ্ছা?
ফিরোজ আল সাবাহ: গাল গাদত(ইসরায়েল)
প্রশ্নঃ ভক্তদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা।
ফিরোজ আল সাবাহ: সামনে জন্মদিন আসছে। কেও চাইলে একটা ৮০০ মিমি লেন্স উপহার দিতে পারেন।