ভয়াবহ বন্যার কারণে পানির নিচে তলিয়ে গেছে দিনাজপুর এর অধিকাংশ স্থান। ভেঙ্গে গেছে বাধের অনেক স্থান। আর এতেই শহর এবং গ্রামে ঢুকে পড়েছে পানি। বেশ কিছু স্থানে পানি এতটাই উচু স্থানে, যে তাদের বাসার বিদ্যুৎ লাইনে পানির সীমে অতিক্রম করেছে। আর এ জন্য অনেক স্থানেই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। দোকান-পাট বন্ধ থাকার কারণেই খাবার সঙ্কট বৃদ্ধি পাচ্ছে। বন্ধ হয়ে গেছে রেল চলাচল। এ ছাড়াও পানির জন্য অনেক স্থানেই সকল ধরণের যান চলাচলও বন্ধ হয়ে গেছে। বেশ কয়েকটি হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেছে, কেননা হাসপাতালের অভ্যন্তরে পানি প্রবেশ করেছে। এ সকল হাসপাতাল থেকে রোগীদের সরিয়ে নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্র কিংবা অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, এতে বহ্যত হচ্ছে চিকিৎসা।
প্রায় দের লক্ষ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে। তবে এ সকল স্থান তারা মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। খাবার, বিশুদ্ধ পানি এবং প্রয়োজনীয় ঔষধ এর রয়ছে তীব্র অভাব। এ সকল আশ্রয় কেন্দ্রের অধিকাংশ স্থানেই নেই বিদ্যুৎ। ফলে রাতের বেলায় অন্ধকারের ভেতরেই কাটাতে হচ্ছে তাদের। একই সাথে বসবাস করছে গবাদি পশু ও মানুষ। গবাদি পশু’র মল-মূত্র’র জন্য তৈরি হচ্ছে তীব্র গন্ধ ও দূষণ।
এর আগে এরকম হয়েছিল ১৯৮৮ এবং ১৯৯৮ সালে। তবে অনেকেরই আশংকা, এবার হয়ত আগের দুবারের চেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
তবে অনেকেই এগিয়ে এসেছেন তাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে। মানণীয় হুইপ ইকবালুর রহিম নিজে পানিতে ভিজে খাবার ও অন্যান্য জরুরি জিনিসপত্র সরবরাহ করেছেন। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জনাব পাটওয়ারী প্রতিদিন খিচুরি রান্না করে সরবরাহ করছেন। এ ছাড়াও অনেক তরুণ এগিয়ে এসেছে, যারা নিজেরা সংগ্রহ করছেন অর্থ এবং খাবার। তারা নিজেরা তৈরি করছেন খাবার এবং সরবরাহ করছেন।