মিস ওয়ার্ল্ড এর বাংলাদেশ অডিশনে এর মুকুট অর্জন করলেন জান্নাতুন নাঈম এভ্রিল (Jannatul Nayeem) । কিন্তু পরে জানা যায়, তিনি ২৩ বছর বয়সে বিবাহ করেছিলেন। কিন্তু তিনি জানিয়েছেন, বিয়ের সময়ে তার বয়স ছিল ১৬ এবং তিনি এ বিয়ে মেনে নিতে পারেন নি। তাই বিয়ের পরের দিন চলে আসেন এবং ঢাকায় চলে আসেন। অথচ মিস ওয়ার্ল্ডে রেজিস্ট্রেশন করার সময়ে তিনি তার বয়স লিখেছেন ২৭। সুতরাং চার বছর আগে বিয়ের সময়ে তার বয়স ছিল ২৩। তথ্য গোপন করার অভিযোগে তার মুকুট ছিনিয়ে নেয়া হয়। অন্যদিকে বিচারকগণ জানিয়েছেন, জান্নাতুন নাঈম তাদের দেয়া নম্বরে প্রথম ৩ জনের মাঝে ছিলেন না।
এদিকে সেকেন্ড রানার আপ রুকাইয়া জাহান চমকও বিবাহিতা। অনুসন্ধানে এমনটাই জানা গিয়েছে। অন্তর শোবিজ কর্তৃপক্ষ চমকের বিয়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তাদের বিয়ের ছবিও পাওয়া গিয়েছে। হিমিও বিবাহিতা, এমন একটা গুঞ্জন উঠেছে। তবে এখন পর্যন্ত এর সত্যতা জানা যায় নি।
পুরো আয়োজন নিয়ে অন্তর শোবীজ এর চেয়ারম্যান স্বপন চৌধুরী জানিয়েছেন, তিনি আয়োজন নিয়ে অত্যন্ত সন্তুষ্ট। তিনি এ আয়োজনকে অত্যন্ত সফল হিসাবে দাবী করেছেন। কিন্তু দর্শকরা জানিয়েছেন, আয়োজন ছিল অত্যন্ত নিম্নমানের। অনুষ্ঠানটি NTV সম্প্রচার করেছে। NTV এর কাজ ছিল অত্যন্ত নিম্ন মানের। ক্যামেরা শেক, স্বল্প ও নিম্ন মানের লাইট ব্যবহার, অপরিষ্কার সাউন্ড সিস্টেম ইত্যাদি সমস্যা ছিল সম্প্রচারে। এ ছাড়া হোস্ট ডি জে সনিকা’র বাচনভঙ্গি নিয়েও সমালোচনা হয়েছে, সমালোচনা হয়েছে তার ড্রেস নিয়েও। অডিশনের
কতিপয় বিচারকদের আচরণ, কথা বলার ধরণ নিয়েও প্রচুর সমালোচনা হয়েছে। অডিশন রাউন্ডের সময়ে বেশ কয়েকজন বিচারক প্রতিযোগীদের সাথে খুব বাজে ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সালমান মুক্তাদীরও এ বিষয়গুলো নিয়ে তার অসন্তোষের কথা জানিয়েছেন। কমেডিয়ান আল মামনুন জানিয়েছেন, পুরো আয়োজন ছিল অত্যন্ত নিম্নমানের। তিনি বেশ হতাশ হয়েছেন এরকম আয়োজন দেখে। পরিচালক পান্থ রহমান জানিয়েছেন, অনুষ্ঠান এর পরিচালক তার শতভাগ দিতে পারেন নি। যদি তিনি তার মেধার দশ ভাগঅ ব্যয় করতেন, তাহলেও এর চেয়ে অনেক ভাল আয়োজন করা সম্ভব হত।