নিতান্তই শখের বশে তিনি পাখির ছবি তোলা শুরু করেছিলেন ২০১০ এর দিকে। আজ তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন একজন সফল বন্যপ্রাণী আলোকচিত্রি হিসাবে। বন-বাদারে ঘুরে বেড়ান তিনি পাখির সন্ধানে। আর সন্ধান পেলেই ক্যামেরার শাঁটার বাটনে আঙ্গুল চাপতে মোটেও দেরী হয় না। কেননা পাখীত আর অপেক্ষা করবে না কারও জন্য। শুধু যে তিনি পাখির ছবি তোলেন, টা নয়। কাজ করেন পাখী সংরক্ষণ ও রক্ষণা-বেক্ষনের জন্য। বিপন্নপ্রায় পাখিদের প্রজনন ও নিরাপদ আবাসের জন্যও তিনি নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বন্দি খাঁচা থেকে মুক্ত করে ছেড়ে দিয়েছেন কত শত পাখিকে। পাখির প্রতি মমতাময়ী এ আলোকচিত্রির সাথে কথা হয়েছে প্রেস বাংলাদেশ প্রতিবেদক যুবাইর বিন ইকবালের। সে আলাপচারিতার নির্বাচিত অংশ পাঠকদের জন্য।
প্রশ্নঃ কতদিন হল ফটোগ্রাফি শুরু করেছেন?
রেজাউল হাফিয রাহী: ৬ বছর
প্রশ্নঃ শুরু করার পেছনের কারণ?
রেজাউল হাফিয রাহী: পাখিদের প্রতি ভালবাসা থেকেই ফটোগ্রাফি তে আসা হয় । এছাড়াও ক্যামেরা খুব প্রিয় ছিল
প্রশ্নঃ ফটোগ্রাফি নিয়ে প্রাতিশঠাকনিক শিক্ষা?
রেজাউল হাফিয রাহী: কোন প্রাতিস্থানিক শিক্ষা নেই । ইন্টারনেট , বইপত্র থেকেই শেখা
প্রশ্নঃ আপনার বর্তমান কর্মব্যস্ততা
রেজাউল হাফিয রাহী: ব্যবসা , ঠাকুরগাঁও ইলেক্ট্রনিক্স এর স্বত্তাধীকারি
প্রশ্নঃ ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
রেজাউল হাফিয রাহী: ওয়াইল্ড লাইফ নিয়ে কাজ করার ব্যপক আগ্রহ আছে
প্রশ্নঃ নতুনদের জন্য কিছু পরামর্শ
রেজাউল হাফিয রাহী: যাই করো পাখি পরিবেশের দিকে একটু খেয়াল রেখো
প্রশ্নঃ বন্যপ্রাণী সংরক্ষনে বিশেষ করে বিল্পুপ্ত প্রায় প্রানীদের জন্য আপনার মতে কি কি করা উচিৎ?
রেজাউল হাফিয রাহী: ব্যপক গণসচেতনতা তৈরী করতে হবে । শিক্ষিত মহল কে এগিয়ে আসতে হবে । এ ছাড়া বন বিভাগ কে এগিয়ে আসতে হবে
প্রশ্নঃ নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
রেজাউল হাফিয রাহী: নিজেকে অনেক অনেক পাখির মাঝে দেখতে চাই
প্রশ্নঃ কি ধরনের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখিন হয়েছেন?
রেজাউল হাফিয রাহী: ব্যবসার কারনে পাখির ছবি তোলার জন্য সময়ের খুব অভাব । ছুটির দিনে বা ব্যাস্ততার ফাকে সময় বের করে যা তুলি আর কি ।
প্রশ্নঃ এ থেকে আয় করেন? করলে কিরকম আয় হচ্ছে?
রেজাউল হাফিয রাহী: ফটোগ্রাফি নিতান্তই শখের বশে । কোন আয় নেই
প্রশ্নঃ কোথায় কোথায় কাজ করেছেন?
রেজাউল হাফিয রাহী: পুরো উত্তরবঙ্গ । কক্সবাজার , বান্দরবন নেপাল যাওয়া হয় মাঝে মধ্যে ব্যবসার কাজে সেখানে টুকটাক ছবি তোলা হয়
প্রশ্নঃ ক্লায়েন্ট ফিডব্যাক কেমন?
রেজাউল হাফিয রাহী: অনেক ভালো । এর মাধ্যমে অনেকের মধ্যে প্রক্রিতি প্রেম জাগাতে পেরেছি । আমার ভাই ব্রাদার আমাকে পাখি ভাই বলে ডাকে , খুব ভালো লাগে শুনতে ।
প্রশ্নঃ কাকে আদর্শ মনে করেন?
রেজাউল হাফিয রাহী: কয়েকজনকে গুরু মানি যেমন দীপন দা , লিটু ভাই , আবু বকর সিদ্দিক ভাই আর খুব কাছের ছোট ভাই ফিরোজ আল সাবাহ
প্রশ্নঃ পছন্দের বিষয় কি এবং কেন?
রেজাউল হাফিয রাহী: ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফি । এটি আমার মনকে তৃপ্ত করে ও শান্তি আনে
প্রশ্নঃ নিজের দুর্বলতা এবং কেন একে দুর্বলতা মনে করেন?
রেজাউল হাফিয রাহী: আমার কোন দুর্বলতা নাই এটা জানি এবং মানি ।
প্রশ্নঃ অবসরে কি করেন সাধারণত?
রেজাউল হাফিয রাহী: অবসর বলতে জীবনে কিছু নাই । ৬ দিন ব্যবসাপাতি পরিবার আর একদিন ছবি তুলে বেড়াই
প্রশ্নঃ কোথায় ঘুরতে পছন্দ করেন এবং সাথে কাকে নিতে পছন্দ করেন?
রেজাউল হাফিয রাহী: বনে জঙ্গলে । আমার মত কএকজন পাখি প্রেমিক সাবাহ, আবু বকর ভাই ,এমদাদ ভাই
প্রশ্নঃ পছন্দের খাবার?
রেজাউল হাফিয রাহী: আজ পর্যন্ত পছন্দের কোন খাবার পেলাম না মাছ ভাত হলে ভাল হয়
প্রশ্নঃ অপছন্দের বিষয় কি?
রেজাউল হাফিয রাহী: ভালো ক্যামেরা ও লেন্সের দাম মাথার উপ্রে দিয়া যায়
প্রশ্নঃ কি দেখে সবচেয়ে বেশি ভয় পান? কেন ভয় পান?
রেজাউল হাফিয রাহী: কুকুর দেখে ভয় পাই 😛 কারন কুকুরের কামর খাইনাই
পশ্নঃ জীবনের সবচেয়ে আনন্দের মুহুর্ত ও কষ্টের মুহুর্ত কি ছিল?
রেজাউল হাফিয রাহী: একটা বড় অপারেশন এর পর পরিবারের কাছে সুস্থ হয়ে ফিরে আশা ছিল সবচেয়ে আনন্দের আর বাবাকে হারানো ছিল সবচেয়ে কস্টের 🙁
প্রশ্নঃ প্রথম প্রেম কার সাথে?
রেজাউল হাফিয রাহী: ৫৫০ডি ও ১৮-৫৫ এম এম এর সাথে
প্রশ্নঃ প্রথম ক্রাশ কে ছিল?
রেজাউল হাফিয রাহী: ক্যানন ১০০-৪০০
প্রশ্নঃ কি দেখলে সবচেয়ে বেশি রেগে যান?
রেজাউল হাফিয রাহী: বেয়াদপ কুকুর দেখলে
প্রশ্নঃ কেমন দুষ্ট ছিলেন ছোটবেলায়?
রেজাউল হাফিয রাহী: এমনিতে দুস্ট ছিলাম না তবে একবার স্কুলে এক বান্ধবীর টিফিন ক্যারিয়ার এ ব্যাঙ রেখেছিলাম । কারন ছিল সে মিথ্যা বলে হাকিম স্যারের কাছে আমাকে মার খাওয়াতো
প্রশ্নঃ বাথরুমে সাধারণত কি ধরনের গান গেয়ে থাকেন?
রেজাউল হাফিয রাহী: বাথরুম এ গান গাই না শুনী
প্রশ্নঃ চলচ্চিত্রে অভিনয় করলে কার বিপরীতে অভিনয় করার ইচ্ছা?
রেজাউল হাফিয রাহী: অনন্ত জলীল এর বিপরীতে 😀
প্রশ্নঃ ভক্তদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা।
রেজাউল হাফিয রাহী: জানিনা আমার মত পাগলের কজন ভক্ত আছে আর যদি থেকেই থাকে , তবে আমার জন্য দোয়া করবেন যাতে আমি আরো ভালো কাজ করতে পারি । সবার জন্য শুভকামনা ।