বিশ্ব রাজনীতি নিয়ে এক তীব্র সমালোচনায় বিশ্লেষক ও সমালোচকদের একটি অংশ মনে করেন, সন্ত্রাসবাদ অনেক ক্ষেত্রেই স্বতঃস্ফূর্তভাবে জন্ম নেয়নি; বরং পশ্চিমা ভূ-রাজনৈতিক কৌশলের অংশ হিসেবে এটি গড়ে তোলা ও ব্যবহার করা হয়েছে। এই দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী, কৌশলগত স্বার্থ পূরণে—কোনো অঞ্চল অস্থিতিশীল করা, সরকার পরিবর্তনে প্রভাব বিস্তার করা বা সামরিক উপস্থিতি বৈধতা দিতে—চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলোকে কখনো উৎসাহ দেওয়া বা উপেক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু একসময় যখন এসব গোষ্ঠী আর কার্যকর থাকে না, তখন তাদেরই শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এরপর ‘সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ’-এর নামে পরিচালিত সামরিক অভিযানগুলোকে নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ হিসেবে উপস্থাপন করা হলেও, সমালোচকদের মতে এগুলো মূলত রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার, অস্ত্র ব্যবসা ও অর্থনৈতিক আধিপত্য বাড়ানোর মাধ্যম। এই বিশ্লেষণে আধুনিক যুদ্ধকে আদর্শের সংঘাত নয়, বরং ব্যবসা, ক্ষমতা ও মুনাফার লড়াই হিসেবে দেখা হয়—যার সবচেয়ে বড় মূল্য দিতে হয় সাধারণ মানুষকে।







