রাজধানী ঢাকা সহ সমগ্র বাংলাদেশ তীব্র লোডশেডিং। এতে স্বাভাবিক জীবন যাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। কল কারখানা বন্ধ হবার উপক্রম। রাজধানীর অধিকাংশ শপিং মলগুলো দিনের অনেকটা সময় ধরে বন্ধ রাখতে হয় বিদ্যুতের অভাবে। তীব্র গরমে বিদ্যুতের চাহিদা বেশি। বিদ্যুৎ না থাকার কারণে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতিতে বেশ সমস্যায় পরতে হচ্ছে এইস এস সি পরীক্ষার্থীদের। অসুস্থ রোগী ও বয়স্ক মানুষের জীবন প্রায় অতিষ্ঠ। এদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমলেও কৃত্রিম তেল সঙ্কট বাংলাদেশ।
আর এ কারণে বন্ধ রয়েছে বেশ কিছু বেসরকারী বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। পিডিবি দাবী করেছে, সমগ্র বাংলাদেশে মাত্র ৫০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং। অপরদিকে পিজিবিসি বলেছে, দেশে কোন লোডশেডিং নেই। কেন না, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ চাহিদা ৮০০০ মেগাওয়াট, সেখানে সরকার উৎপাদন করছে ১০,০০০ মেগাওয়াট।
নৌ পরিবহণ শ্রমিকদের ধর্মঘটের কারণে ঠিকমত তেল পাচ্ছে না, এমনটাই দাবী অনেক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের।
ডেসা কর্মকর্তা মোহাম্মাদ মনিরুজ্জামান বলেন, লোডশেডিংয়ের দায় শুধু সরকারের নয়। আমরা সাধারণ জনগণ প্রচুর বিদ্যুৎ অপচয় করে থাকি। বিশেষ করে শপিং মলগুলোতে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে অযথা আলো জ্বালিয়ে রাখা হয়।