চিকিৎসাসেবায় গত পঁচিশ বছরে বাংলাদেশের তুলনায় ভারত অনেক পিছিয়ে রয়েছে। যদিও প্রায়ই উন্নত চিকিৎসার নামে অনেক বাংলাদেশিই ভারতে গিয়ে থাকেন। মেডিকেল জার্নাল দ্য লেনসেটে প্রকাশিত গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিসেস শিরোনামের এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, সেবাগ্রহণ ও সেবার মানের দিক থেকে ভারত লক্ষ্য পূরণে শুধু ব্যর্থ নয়, তারা বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও চীনের চেয়েও পিছিয়ে রয়েছে। প্রতিবেদনে বিশ্বের ১৯৫টি দেশকে নিয়ে এ তালিকা করা হয়েছে। এর মাঝে বাংলাদেশের অবস্থান ৫২ নম্বরে, আর অন্যদিকে ভারতের অবস্থান ১৫৪ নম্বরে রয়েছে। শ্রীলঙ্কা ৭৩ এবং চীনের অবস্থান দেখানো হয়েছে ৭৪তম স্থানে। ১৯৯০ সাল থেকে ২০১৫ পর্যন্ত সময়ে দেশগুলোর চিকিৎসাসেবার মানের ওপর ভিত্তি করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। প্রতিবেদন অনুযায়ী, যক্ষা, ডায়াবেটিস, হার্টের ও কিডনির চিকিৎসার ক্ষেত্রে সেবার উন্নয়নে ভারত প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি।
এ তালিকার শীর্ষস্থানে রয়েছে সুইজারল্যান্ড। এরপরেই যথাক্রমে অবস্থান করছে সুইডেন ও নরওয়ে। ডঃ আবেদা পারভীন জানালেন, আমাদের দেশের কিছু মিডিয়া প্রায়শই বিভিন্ন দুর্গঠনা নিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে এবং বাংলাদেশ এর ডাক্তারদের হেয় করার চেষ্টা করে। আর সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে এ সকল নেতিবাচক সংবাদ খুব দ্রুত ছড়িয়ে পরে।
ইবন সিনা হাসপাতাল এর অধ্যাপক ডঃ আব্দুল হাই বলেন, একজন ডাক্তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন একজন রোগীর জীবন বাচাতে। তিনি আরও বলেন, অনেক সময়ে দেখা যায়, একজন রোগী এমন সময়ে হাসপাতালে আসেন, যখন আর কিছুই করার থাকে না।