সন্ধা ৬ টা ৩০ মিনিটে উত্তরার আলাউদ্দিন টাওয়ারের লিফট ছিড়ে নিচে পরে যায় এবং আগুন ধরে যায়। এ আগুন মুহুর্তে ছরিয়ে পরে। লিফটের তারও ছিরে যায়। পাঁচজন নিহত এবং আহত হয়েছেন প্রায় অর্ধশতাধিক। নিহত চারজনের পরিচয় পাওয়া যায় নি। অপর নিহত ব্যক্তি শপিং মলের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার ইঞ্জিনিয়ার মাহমুদুল হাসান (৩৫)। তার দু সন্তান মায়শার ৪৪ শতাংশ ও আট মাস বয়সি ছেলে মুনতাকিনের ২৩ শতাংশ শরীর পুড়ে গেছে। আহত তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক অলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ। বহুতল ভবনটিতে অফিস ও দোকান রয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের আঠারটি ইউনিট আগুন নিয়ন্রণে আনার চেস্টা করে প্রায় দু ঘন্টা ধরে। অবশেষে রাত নয়টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আশে। ঈদের কেনাকাটার জন্য দোকানগুলোতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ভীর ছিল। ভয়ে লোকজন ছোটাছুটি শুরু করে, এতে অনেকেই আহত হয়।
দোকানমালিকগণ অভিযোগ করেন, ডেভলপারদের অতিরিক্ত মুনাফার লোভে নিম্নমানের লিফট্ ব্যবহারের বলি হলো ঈদের বাজার করতে আসা সাধারণ মানুষ। এ ছারাও ভবনটির নিজস্ব কোন অগ্নি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ছিল না। ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ প্রায় এক কোটি টাকা।
এর আগেও একবার এ ভবনে অগ্নিকান্ড হয়েছিল। কিন্তু তারপরও নেয়া হয় নি, কোন ব্যবস্থা।
লিফট দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে নেমেছে বুয়েট-রাজউকের একটি বিশেষজ্ঞ টিম। বাংলাদেশ পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও ডিএনসিসি সমন্বিতভাবে এ দুর্ঘটনার তদন্ত করবে। ফায়ার সার্ভিস জানায়, বেজমেন্টে কিছু অনাকাঙ্খিত স্থাপনা ছিল, এগুলোর কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পরে। প্রাথমিক তদন্তের পরেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশ। এ মুহুর্তে মার্কেট ফায়ার সার্ভিসের তত্তাবধানে রয়েছে।