ঘুর্ণিঝড় মোরা আঘাত হানতে শুরু করেছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এলাকায় ১০ নম্বর মহা বিপদ সঙ্কেত দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে তলিয়ে গেছে উপকূল এলাকার প্রায় ১০ টি এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাবার কাজ শুরু করা হয়েছে। প্রায় দু লক্ষ বাসিন্দা এ মুহুর্তে আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। তবে সেখানে এখন পর্যন্ত পর্যাপ্ত খাবার, বিশুদ্ধ পানীয় সরবরাহ করা হয়নি। তবে বিভিন্ন সংস্থা ইতিমধ্যেই তাদের প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেছে। যেহেতু বৃষ্টি হচ্ছে না, তাই ঘুর্ণিঝড় এর শক্তি বৃদ্ধি পাবার সম্ভাবনা রয়েছে। শ্রীলঙ্কায় আঘাত হেনে এটি আরও শক্তি সঞ্চয় করে তা বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে। এর আগে সিডর এর সময়েও ১০ নম্বর সংকেত দেখানো হয় নি। তাই আশঙ্কা করা হচ্ছে, এবার আরও ভয়াবহ কিছু ঘটতে যাচ্ছে।
ইতিমধ্যে তিনজন এর মৃত্যু সংবাদ পাওয়া গেছে, রহমত উল্লাহ (৫০) এবং সায়েরা খাতুন (৬০) এ দুজন এর মৃত্যু হয়েছে গাছের চাপায়, আর এক নারী মরিয়ম বেগম (৫৫) মৃত্যু বরণ করেছেন আতঙ্কে। তিনি একটি আশ্রয়কেন্দ্রেই ছিলেন। প্রচুর গাছপালা ভেঙ্গে পড়েছে এবং কাঁচা ঘড় বিধস্ত হয়েছে, এসব ঘরে অদৌ কেও ছিল কিনা, তা এখন পর্যন্ত জানা যায় নি।
বন্ধ করে দেয়া হয়েছে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে বিমান ওঠা-নামা। সারা দেশের নৌ যান চলাচলও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, সমুদ্র থেকে ফিরে আসতে বলা হয়েছে সকল মাছ ধরার ট্রলারকে।
ঘুর্ণিঝড় মোরার আঘাতে শ্রীলংকায় ইতিমধ্যেই ২১০ জন নিহত, ১ লাখ মানুষ গৃহহীন এবং অসংখ্য মানুষ নিঁখোজ হয়েছে। ভারত এর কিছু এলাকায়ও আঘাত হেনেছে, তবে এখনও কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায় নি।
ভিয়েনা থেকে প্রতিনিয়ত খবর রাখছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রীয় সফরে তিনি এখন অস্ট্রিয়া’য় রয়েছেন। ইতিমধ্যে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রাম শহরের জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী। এ ভয়াবহ দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেতে রাজধানী ঢাকার কাকরাইল মসজিদে এশা’র নামাজের পরে বিশেষ মুনাজাত করা হয়।
জরুরী নম্বর
১) নিকটতম ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কোথায় তা জানতে 611545 এ কল করুন
২) চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন হটলাইন 630739
৩) কেউ আহত হলে 634843 এ কল করুন