নেচে গেয়ে মানুষ উদযাপন করল পহেলা বৈশাখ ১৪২৩। নতুন কেনা শাড়ী, পাঞ্জাবি, ফতুয়া পরিধান করে প্রায় সকলেই বেরিয়েছেন বিভিন্ন জায়গায়। কোথাও কনসার্ট আবার কোথাও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। নৌকা বাইচ, মেলা, বায়স্কোপ, হাউযি খেলা ইত্যাদি নানা আয়োজন।

তবে যে সকল অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছিল, তার মান নিয়ে ছিল দর্শকদের হতাশা। বিভিন্ন পণ্যের বিজ্ঞাপনের আড়ালে ঢেকে গিয়েছে পহেলা বৈশাখ এর আদি রূপ। কনসার্টে একদিকে গান গাচ্ছেন শিল্পী আর অন্যদিকে শ্রোতারা নিজেদের মত কাজ করে যাচ্ছেন। শিল্পি রুমি দুঃখ করে জানালেন, আমরা কষ্ট করে গান গাই, কিন্তু শ্রোতারা তালিও দেয় না। তারা আমাদের সাথে থাকলে, আমরাও বেশ উৎসাহ পাই। একটি কনসার্ট আয়জক প্রতিষ্ঠানের কাছে যখন প্রশ্ন করা হল, এত নিম্নমানের কেন আয়োজন? উত্তরে তিনি জানালান, “যেমন পাব্লিক, তেমনই আয়োজন, মাইনসেত নাচে মিলারে দেইখা, সাউন্ড কেও হুনে না”
তবে এসকল অনুষ্ঠান আয়জনে বাজেট থাকে খুব কম। তাই অনুষ্ঠানের মান ভাল নয় বলেই জানালেন একটি অনুষ্ঠান স্পন্সরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে।
নিরাপত্তার কড়াকড়ি সাধারণ মানুষকে বেশ ভুগতে হয়েছিল। রাজধানীর অনেক জায়গায় রিকশা সহ অন্যান্য যানবাহন চলাচলে ছিল কঠোর নিসেধাজ্ঞ্যা। আর এতে অনেকেই পরেন বিপদে।
চবিঃ যুবাইর বিন ইকবাল
