গিয়েছিলাম, ভারতের সরকারের আমন্ত্রণে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে।
যাত্রা শুরু করি ৪ই ডিসেম্বর সকাল ৮টায়।৪টা রাজ্য ভ্রমণ করি পুলিশ প্রোটকল এ। দিল্লী -আগ্রা-গুজরাট-কলকাতা।১১তারিখ দেশে ফিরি। দেখেছি ও জেনেছি ভারতের ঐতিহ্য ও ইতিহাস। সবসময়ে সাথে ছিল পুলিশ প্রোটকল।
০৪ই ডিসেম্বরঃ দিল্লী মিউজিয়াম ও দিল্লী গেট
০৫ই ডিসেম্বরঃ রেড ফোর্ট, শাহী জামে মসজিদ, বিকেলে প্রেসিডেন্ট ভবনে আমন্ত্রণ, উপস্থিত ছিলেন যুব মন্ত্রি, প্রেসিডেন্ট ভবনে পেয়েছি ভিয়াইপি সংবর্ধনা। দুই দেশের ত্রুন্দের একসাথে কাজ করার আহবান জানান তিনি।
০৬ই ডিসেম্বরঃ আগ্রা গমন ও তাজমহল,আগ্রা ফোর্ট
০৭ই ডিসেম্বরঃ মহত্মা গান্ধির সমাধি, কুতুব মমিনার ও বিকেলে গুজড়াটের উদ্দেশ্য গমন
০৮ই ডিসেম্বরঃ গুজ্রাট ইঞ্জিয়ার ইউনিভারসিটি তে আমন্ত্রণ, সেখানে দুই দেশের সাংস্কৃতিক মিল বন্ধন হয়, আমরা আমাদের দেশের গান, নাচ, কবিতা পরিবেশনা করি, আমিও ছিলাম গানের দলে।
০৯ই ডিসেম্বরঃ মহত্মা গান্ধির আশ্রম ডান্ডি কুঠির এ যাই।
১০ই ডিসেম্বরঃ কলকাতা যাত্রা, ভিক্টোরিয়া পার্ক, ইডেন গার্ডেন ও হাওয়া ব্রিজ।
১১ই ডিসেম্বরঃ কবি গুরু রবি ঠাকুরের বাড়ি, জোড়াসাঁকো রাজবাড়ি দশন,মনে হচ্ছিল চোখের সামনে রবিঠাকুর কে দেখছি।
রাত এ দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হই। পুরো টুরে প্রোটকল সহ রাষ্টিয় অথিতির মর্যাদা দেয়া হয়। স্বপ্নের মত ছিল এই ৮দিন। লাল -সবুজ, ভালোবাসার রঙ এর শাড়ি পরেছিলাম প্রেসিডেন্ট এর সাথে সাক্ষাত করতে।লাল-সবুজ আমার অহংকার। বিজয়ের মাসে নিজের দেশের প্রতিনিধি হয়ে যেতে পেরে আমি গর্বিত।
ভালোবাসার বাংলাদেশ। লাল-সবুজ আমার অহংকার।
খুব কড়া শাসনে বড় হয়েছি তাই,ঢাকার বাইরে পরিবার ছাড়া কখনওই যাওয়া হয়নি আমার। তাই এই টুর টা আমার জীবিন্স স্মরণীয়। যে মেয়ে বাড়ির বাইরে একা কোন্দিন পা রাখে নি সে গিয়েছে তার দেশের প্রতিনিধি হয়ে।
-বর্ষা
রেডিও প্রেসেন্টার
University of liberal Arts Bangladesh (ULAB)