অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যা অভ্যাস ও শারীরিক পরিশ্রম না করার কারনে পেটে অতিরিক্ত মেদ বা চর্বি জমে যায়। এর জন্য হতে পারে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিকস সহ নানা ধরণের রোগ। তাছাড়া পেটে অতিরিক্ত মেদ বা চর্বি নানা ধরণের সমস্যা তৈরি করে। এমনকি অনেক চাকরির ক্ষেত্রে তা বাধা হতে পারে।
লেবুর শরবৎ
ঘুম থেকে ওঠার পরে লেবুর রস ও লবণ দিয়ে তৈরি করা এক গ্লাস শরবৎ পান করুন। তবে পানি হতে হবে হালকা গরম। খুব সহজেই কমে যাবে পেটের মেদ। এছাড়া এটি বিপাক ক্রিয়ার সমস্যা থাকলে তাও দূর করে ফেলে।
রসূন
প্রতিদিন সকালে দু-তিনটি কাঁচা রসুনের কোয়া খান। এর পরে এক গ্লাস লেবুর রস পান করুন। এতে আপনার পেটের চর্বি দীগুণ হারে কমা এবং আপনার শরীরের রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক করবে।
মশলা
এমন কিছু মশলা আছে, যেগুলো ওজন কমাতে সহায়তা করে। যেমন গোলমরিচ, দারুচিনি, আদা, রসূন ইত্যাদি। তারকারীতে এগুলোর ব্যবহার বাড়ানো যেতে পারে। তাছাড়া আদা চা বেশ উপকারী। এক কাপ লাল চায়ে এক চামচ আদা দেয়া যেতে পারে। আদা চা সর্দি-কাশিও দূর করে।
পানি
প্রচুর পানি পান করতে হবে। একজন পুর্ণ বয়স্ক মানুষের দিনে কমপক্ষে আড়াই থেকে তিন লিটার পানি পান করা উচিৎ। বিশেষ করে খাবার গ্রহণের পুর্বে এক থেকে দু গ্লাস পানি পান করা উচিৎ, এতে খাবার গ্রহণের পূর্বেই পেট অনেকটাই ভরে যাবে এবং অতিরিক্ত খাবার গ্রহণের প্রবণতা কমে যাবে।
লাল মাংস
লাল মাংস যেমন গরু, খাসী এগুলো জথা সম্ভব ত্যাগ করতে হবে। এগুলোর পরিবর্তে মুরগী, হাস ও মাছ খেতে হবে। লাল মাংসে প্রচুর চর্বি থাকে। সামুদ্রিক মাছ অতিরিক্ত মেদ দূর করতে সহায়তা করে।
সাদা চাল
সাদা চালে প্রচুর চর্বি থাকে। আর এ কারণে সাদা চাল পরিত্যাগ করতে হবে। বাদামী চাল ও বাদামী রুটিতে তুলনামূলক কম চর্বি থাকে। তাই এগুলো খেতে হবে।
শারীরিক ব্যায়াম
প্রতিদিন ন্যূনতম একঘন্টা ব্যায়াম করা উচিৎ এবং এমনভাবে করতে হবে, যেন পুর শরীর থেকে অজস্র ঘাম বের হয়। ব্যায়ামের মধ্যে দৌড়ান, সাতার কাটা, ওঠা-বসা করা ইত্যাদি। কাছা কাছি দূরত্বের জন্য বাস বা রিকসা পরিহার করে বাই সাইকেল ব্যবহার করা যেতে পারে এবং প্রচুর হাটার অভ্যাস করতে হবে। হাটার সময়ে জোড়ে হাটার অভ্যাস করতে হবে।
ঘুম
প্রতিদিন সময়মত ৬ ঘন্টা ভালো করে ঘুমালে শরীরে মেদ কম জমে এবং জমে থাকা মেদ ঝরতে সাহায্য করে। সঠিক সময়ে ঘুমালে আর অনেক শারীরিক সমস্যা দূর করে। বিশেষ করে উচ্চ রক্তচাপ, মানসিক অস্থিরতা ইত্যাদি।