আনিলা মায়োশি

একটি দেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে তরুণদের উপরে। তারা যদি এগিয়ে যায়, তাহলে সে দেশের ভবিষ্যৎ যে উজ্জ্বল, তা বলা যায় কোনকিছু না ভেবেই। আর এরকম তরুণদের মাঝে যদি উদ্দ্যোক্তা থাকে, তাহলে উজ্জ্বলতম ভবিষ্যৎটা যে শুধুমাত্র সময়ের ব্যাপার। ১৮ পেরনোর আগে তাকে শিশুই ধরা হয়। কিন্তু এ ১৮ পেরোনোর আগেই কেও যদি নিজেকে নিয়ে যায় অনন্য এক উচ্চতায়, কি বলবেন তাকে? এমনই একজন আনিলা মায়োশি। যিনি কাজ করছেন একজন সফল ফ্যাশন ডিজাইনার হিসাবে। বৃষ্টিস্নাত এক সন্ধায় আনিলা মায়োশি কথা বললেন প্রেস বাংলাদেশ প্রতিবেদক নওরীন মেহনাজ বর্ষার সাথে। সে আলাপচারিতার নির্বাচিত অংশ পাঠকদের জন্য।

প্রশ্নঃ ফ্যাশন হাউজ নিয়ে কিছু বলুন। কেন নিজেকে এখানে নিয়ে এলেন?
আনিলা মায়োশি: ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে পড়াশোনার মত বয়স এখনো আমার হয় নি, আমার বয়স কেবল ১৮, ছোট বেলা থেকেই মাকে দেখে শেখার মধ্য দিয়ে আমার এ জগতে প্রবেশ। মাকে দেখেই মনে ইচ্ছে জাগে একজন ফ্যাশন ডিজাইনার হবার। তারপরই অনলাইন পর্যায়ে আমি মা’র ব্যবসাটাকে নিয়ে আসি।

ভিবজিওর এ ফ্যাশন বুথ। এটি অনলাইন ফ্যাশন হাউজ। রংধনু এর ৭ রঙ যার শুরু লাল থেকে বেগুনী পর্যন্ত। এই রঙ এর ধারাবাহিকতা মনে রাখার জন্য রঙ এর প্রথম অক্ষর দিয়ে ধারাবাহিক ভাবে ভিবজিওর হয়। এভাবেই VIBGYOR শব্দটি দাঁড়ায় v- violet , i – indigo ,b – blue , g- green . y- yellow , o- orange . r- red – । ৭ রঙের সমারহ এই ভিবজিওর এ।
অনলাইনে ভালভাবে শুরু করার পর আমি মায়ের সাহায্যে ডিজাইন করতে শুরু করি, ফটোশুট এর উদ্যোগ নেই, পুরো অনলাইনে তা পাব্লিসিটি করি এবং তা ক্রমশ খুব পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা পায়। যা ছিল আমার জন্য অনেক বড় এক অনুপ্রেরণা।

প্রশ্নঃ কি ধরনের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখিন হয়েছেন?
আনিলা মায়োশি: আমাদের ডিজাইনগুলো যখন খুব জনপ্রিয়তা পেল তখন ধীরে ধীরে আমাদের ডিজাইনের রেপ্লিকা করা শুরু হল। আমার আইডিয়া কে নকল করে ছড়িয়ে দিল সব জায়গায়, যা আমার জীবনে প্রথম প্রতিবন্ধকতা। খুব ভেঙ্গে পরেছিলাম। মা বোঝানোর পর নিজেকে সামলে নিলাম।

প্রশ্নঃ আপনার বর্তমান কর্মব্যস্ততা কি?
আনিলা মায়োশি: আমি বর্তমানে ভিবজিওর এ ফ্যাশন ডিজাইন করি। অনলাইন প্রমোশন্‌, ম্যানেজমেন্ট, ফটোশুট, ইভেন্ট, র‍্যাম্প করানো ইত্যাদি আমি দেখাশুনা করি। ভিবজিওর এর অনেক ফ্যান ফলোয়ারস আমার আর মার অনেক সাধনার পর ভিবজিওর আজ এই অবস্থানে।
আমি পরাশুনা ও ফ্যাশান হাউজ এ কাজ করার পাশাপাশি ফটোগ্রাফিও করে থাকি, তার পাশাপাশি আমি একজন মেহেদি আর্টিস্ট।

ফটোগ্রাফি এর সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা দিয়েছে আমাকে সামি আব্দুল ওয়াহেদ ভাইয়া যার ছিল আমার প্রতি অগাধ বিশ্বাস। তারপর আমি স্যার প্রিত রেযার কাছে কোর্স করি এবং ওনার কিছু ওয়ার্কশপে অংশ নিয়েছি। ইতিমধ%

top wedding photographerin bangladesh