বর্তমানে স্টেরয়েডের মাধ্যমে গরুকে স্বাস্থ্যবান করা হয়, যেটা অবৈধ কেননা এ গরুর গোস্ত খেলে মানুষের নানা ধরণের রোগ হবার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু কুরবানি ঈদ এর পূর্বে অনেক অসাধু গবাদি পশু ব্যবসায়ি এ পন্থা অবলম্বন করে। কেননা সাধারণত ক্রেতারা বড় ও স্বাস্থ্যবান গরুর প্রতি আকৃষ্ট হয়ে থাকে। স্টেরয়েডের মাধ্যমে গরু মোটাতাজা হয় না বরং শরীরে পানি জমে যাওয়ার কারণে হৃষ্টপুষ্ট দেখায়। এসকল ঔষধ ও রাসায়নিক দ্রব্য গরুর স্বাভাবিক বিপাক প্রক্রিয়া নষ্ট করে।
স্টেরয়েডের মাধ্যমে স্বাস্থ্যবান গরু চেনার জন্য কয়েকটি জিনিস লক্ষ্য করতে হবে। স্বাভাবিক গরুর গায়ে চাপ দিলে মাংস একটু দেবে যায়। সুস্থ গরুর ক্ষেত্রে এই চাপ ছেড়ে দিলেই মাংস স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। তবে কৃত্রিম প্রক্রিয়ার মোটাতাজা করা গরুর গায়ে চাপ দিলে তা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে বেশি সময় নেবে।
শরীরে পানি জমার কারণে কৃত্রিম উপায়ে স্বাস্থ্যবান করা গরুগুলো এক জায়গায় বসে থাকে, নড়াচড়া কম করে।
এ ধরণের গরুর শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত হয়, মনে হয় যেন হাঁপাচ্ছে আর প্রচণ্ড ক্লান্ত দেখায়।
স্বাভাবিক গরুর রানের মাংস শক্ত হয়। আর ট্যাবলেট খাওয়ানো গরুর ক্ষেত্রে তা হবে নরম। এই ধরনের গরুর প্রস্রাবের পরিমাণও কমে যায়।
ট্যাবলেট খাওয়ানো গরুর মুখে অতিরিক্ত লালা বা ফেনা থাকে।