সেই ৭১’ এর মাতাল খুনী
ফিসফিস করে কি যেন বলছে ,
হয়ত নতুন কোন ষড়যন্ত্র কিংবা বিষাক্ত ছোবলের প্রস্তুতি ।
ওই তো তারকাখচিত টুপিওয়ালা
হাতে সেই মেরুন রক্তে মাখা ছোরা ।
সেই উন্মত্ত রক্তচোষা
আজো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায় রাজপথে ,
বিপুল জনসভায় বক্তৃতা দেয় তুমুল করতালির মাঝে ।
কখনো সখনো ফুলেতে গলা যায় ডুবে
এদের ভাবখানা এদেশের সেবা করতে পারলে জীবন হয় ধন্য ।
এত সহজে কি সব ভুলেছে বাঙ্গালী !
এত সহজে কি ঢেকে যাবে
একটার পর একটা ইটের দেয়ালে গাঁথানো ইতিহাস !
তা কী করে হয় !
‘৭১-এর লাশ কুড়ে কুড়ে খাওয়া শকুনগুলো নাকি
আমীরের পদপ্রার্থী ;
ঢং করার সাহস পায় কোত্থেকে ?
ন্যাকামীপনা অসহ্যতেও আমরা নিশ্চুপ ।
ঐ শালারা এদেশের বুকে রাজনীতির হালচাষ করে ।
সুযোগ নিয়ে ইসলামের নামে হত্যা করে নিরীহ প্রাণ ।
আল্লাহর নামে শপথ করে রুমালে মেরুন রঙ ঢাকে ।
ইসলাম মানে তো শান্তি, পবিত্র ।
কিন্তু ওরা তো ইসলামকেও পবিত্র রাখে নি ।
আল্লাহ্কে নোংরা করতে চায় ।
আর আমরা বাঙ্গালীরা এখন
এদেরকে আস্কারা দিয়ে মাথায় তুলেছি ,
ভালোবেসে দিয়েছি নাগরিকত্ব ।
ইদানিং শোনা যায় শ্লোগান ,
“আমরা সবাই তালেবান
বাংলা হবে আফগান ” ।
ওই তো এদেশকে নতুন আফগানিস্তান
কিংবা নতুন করে পাকিস্তানের জন্ম দেওয়া
এদের নতুন পরিকল্পনা ।
তারপর ফলাফল এসে দাঁড়াবে শেষে এরকম ,
আমাদের প্রিয় ভবিষ্যত বংশধরগণ আমাদেরকে বলবে ,
“আপ কেয়া মাংটা হ্যায়?”
তখন আমাদের পাল্টা জবাব কি হবে ?
নাকি সেবারও থাকব নিশ্চুপ আজকের মতোন ।
এখনও সময় আছে ,
এসো বিবেকবান বাঙ্গালী ,
এসো একত্রিত হই ।
রাজাকার, আলবদরের নীল নকশা করি ছাড়খার ।
এসো চিৎকার করি ,
“ আগুন জ্বালো আগুন জ্বালো ” ।
তবে আমরা সুস্পষ্ট দেখতে পাব এ বাংলার গর্বিত হাসি ।
ফাঁসির মঞ্চে তখন কতগুলো রাজাকারের লাশ ঝুলবে ,
তখন বাঙালীরা উত্তেজনায় চিৎকার করে বলবে ,
“ রাজাকার নিপাত যাক ।”
– অয়ন আহমেদ