আমি যখন তাকিয়ে দেখি আমার সোনার মুখ, পৃথিবীটার শত স্বপ্ন দেখি প্রাণের সুখ, তোর চোখেতে কাজল আঁকি তোর বিপদে সামনে ঝুঁকি, তোকে আমি দেখি যত অতীত মনে পড়ে তত, কত আদর করতো বাবা মা দিত বকুনি থাবা, দাদি দাদার আদর তলে ভুল ত্রুটি ক্ষমায় চলে, এখন যদি আমার সোনা জল এলে চোখের কোণা, সামনে আমার অতীত এনে সব আবদার নিলাম মেনে, একদিন আমি শিশু ছিলাম বাবা হয়ে জন্ম দিলাম আমার সোনার মুখ পৃথিবীর যত সুখ, দাদা হতে আর কটাদিন শোধ করব জমানো ঋণ। – মৌসুমি আক্তার
Read MoreCategory: Literature
Literature, often hailed as the mirror of human experience, is a vast and intricate tapestry woven with words. It encompasses a diverse array of written and spoken works, including novels, poetry, plays, essays, and more, reflecting the myriad facets of human thought, emotion, and culture. Literature serves as a timeless vehicle for storytelling, allowing individuals to explore the depths of imagination, confront societal issues, and grapple with the complexities of the human condition. It transcends geographical and temporal boundaries, connecting readers across generations and cultures. Through literary works, authors encapsulate their perspectives, philosophies, and dreams, contributing to the collective wisdom of humanity. Whether exploring the intricacies of love in a sonnet, delving into the moral dilemmas of characters in a novel, or dissecting the human psyche through a play, literature offers a profound exploration of life’s profound mysteries, making it an indispensable part of our cultural heritage.
প্রবীণ
প্রবীণ বলে নেই তো কিছু প্রবীণ হব সবাই জীবনের এই ঘূর্ণিপাকে পথ চলার স্বভাব। শিশু হবে মধ্যম তারপর বাধ্যকে আসা একই নিয়মে চলছে সব তবে কেন দম্ভ লাফ এদিক ওদিক তাকিয়ে ফেরা দেখে সবাই শাসকের খেলা ভুলে যাই আমরা যাব না প্রবীণ মিছিলের মেলায়। আমরা সবাই মিলেমিশে থাকব সমাজে টিকে দেব না কোন কষ্ট আমরা প্রবীণদের বুকে। প্রবীণ আছে বলেই আমারা আছি কেদারের দোলায় বড় আসন নিয়েছি আজি তাদের অবদানের ছোয়ায়। – মৌসুমি আক্তার
Read Moreপ্রকৃতির সাজ
অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখা, নদীর ঢেউ আছড়ে পরে পাড়ে, আবার শেষে জলগুলো যায় গড়িয়ে মিশে জলে, পদ্ম ফোটা বিলের মাঝে দুলছে সকল পদ্ম হেসে, বয়ে বাতাস চলছে ধেয়ে, গুনগুনিয়ে গান শুনিয়ে, যাচ্ছে মাঝি ডিঙি বেয়ে, বোকা কলু এসেছে ক্ষেতে এদিক ওদিক তাকিয়ে থাকা মনের চোখে আনন্দের দোলা পরের ক্ষেতের সরিষা দেখে কলুর বেজায় হাসি ফোটে। সন্ধ্যারাতে ব্যাঙের ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ সারি সারি মাথা তুলে ভাসে পেছন ডোবায় মেঘে ছেয়েছে আকাশ বৃষ্টি শুরু ভিজছে হলুদ ডগা। – মৌসুমি আক্তার
Read Moreঅপরাজিতা
এই শহরে হরেক রকম মানুষ আছে। এই শহরেই হরেক রকম স্বপ্ন আছে, স্বপ্ন ভাঙ্গার গল্প আছে। পরী, আসমানী বা বানানো নামে! সস্তা কিছু গারো রোজ পাউডার মেখে, পার্কের কোনায় ল্যাম্পপোস্টের নিচে অপেক্ষা করার গল্প আছে। রহস্যময় আলোছায়ায় ইটের প্রাচীর ঘেঁষে, দাঁড়িয়ে থাকে কারো অপেক্ষায়। কখনো অপমানিত হয়, কখনো হয় নির্যাতিত। অর্থের বিনিময় পরী কিংবা আসমানীদের পানকৌড়িতে ডুব দেয়া, মনের খবর কেউ নেয় না। আসমানির এটাই হয়তো অভ্যস্থ জীবন। মাংসের স্বাদ এর কাছে, কেউ ভালোবাসার ঘ্রাণ খুঁজে না। সবার চোখে শুধু কামনা, তাদের জন্য নেই কোনো মোহ, ঠিক যেন সুতো কাটা…
Read Moreআবদার
পুরনো দিনের মতন ডায়েরি লেখা হয় না, চিঠি লেখাও আর হয়ে উঠে না। তবে অনেক না বলা কথা জমে আছে। মনের কথাগুলো ছিল ছোট্ট চারার মতন, কিন্তু তা ধীরে ধীরে বেড়ে, মেঘ ফুড়ে গগন ছাড়িয়ে গেছে। কাউকে বড্ড বেশি দরকার, জমে থাকা গল্প শোনাবার জন্য। অনেক কবিতা শোনানোর ইচ্ছে আছে, তবে খেরো পাতায় তুলে রাখার, ইচ্ছেটা মরে গেছে। এই ধরো, বিকেলে বেলকুনিতে একা বসে চা খাওয়া, এলোমেলো ভাবনা, আজ বাসায় কি হলো, অদরকারি কিছু ঘটনা। এসব শোনার জন্য বড্ড বেশি, মনোযোগী শ্রোতা লাগবে। কাজল লেপ্টে থাকার কারন জানতে চাইবে, চোখে…
Read Moreশিশির জোনাকি কথামালা
রাত জানে কি কাল দিনে কার ভাগ্যে কি লেখা আছে? কেন এতো ছলনার গল্প বুনা তবে এই চারপাশে? কেন শিশির আর জোনাকির মিলনে এতো এতো বাঁধা? একটি রাতের বাঁধা? নাকি এক সহস্র জনমের বাঁধা? কেন এই ছেড়ে চলে যাওয়া যা-ই! কেন ছেড়ে যাবার বাহানা খোঁজা? কেন ছেড়ে গেলে কাটানো স্বর্গীয় মুহূর্তগুলো? জানো তো একটি সম্পর্কের মৃত্যু মানেই একটি জীবন ও স্বপ্নের অপমৃত্যু! ঠিক যেমন ডাক্তারের “সরি” বলে দেওয়া অর্থ আর! আর কিছুই করার নেই! থেমে গিয়েছে জীবনের প্রদীপ! কিন্তু, জোনাকি বাঁচতে চেয়েছিল শিশিরের বুকে মাথা রেখে! জোনাকি বেঁচে থাকবে অনেকগুলো…
Read Moreইউক্রেনের ভালোবাসা
চারিপাশে আগুন চলছে হাহাকার জীবন নিয়ে দৌড়ে পালাবার সীমানা খোঁজা কত রক্তাক্ত বাঁচার আকুতি কত এপাশ ওপাশে নিথর দেহ পরে আছে দেখতেই গা ছমছম যেখানে ছিল সুখ আর সুখ সেখানে ছিল না শিশু সন্তানের খাবার পেতে কান্না পিতা-মাতাকে রেখে পালানো আর পিছনে না ফেরা শিবিরের কোণঠাসা জীবন বেঁচে থাকার সংগ্রাম নতুন স্বপ্নের হাতছানিতে ঘনিয়ে আঁধার কাটবে জানি খারকিভ শহরে দাঁড়িয়ে আাছে সাহিত্যের অন্যতম জনক তারাস শেভচেঙ্কো রুশ হামলা ঠেকাতে মরিয়া সে দেশের জনতা দিচ্ছে বালুর বাঁধ কবি আজ তুমি নাই ঠিকই তবুও দেখ কত ভালোবাসা জাগ্রত রয়েছ সবার হৃদয়ে আঁকড়ে…
Read Moreশরীর
শরীরে নয় শুধু সর্বত্র খুঁজে তোমাকে। শরীরের প্রতিটি মুহূর্ত অনুভব। কামনায় হোক বাসনায় উপেক্ষায় হোক চাহিদায় থাকা বা না থাকায় জড়িয়ে আছো সব খানটায়। প্রতি রাতে ফিরে যাই যাহা অধিকার কিন্তু স্বপ্নে বা ভাবনায় তোমাকে খুঁজে বেড়াই। স্বেচ্ছায়, আমাকে অন্ধকারে নামাও। আমি তোমার বাহুডোরে জড়িয়ে পড়ে থাকি সারাক্ষণ। জীবন অমাবস্যার ন্যায় মধ্যরাত্রে আমাকে ঘিরে ধরে। তোমার কামনায় ; তোমার কামনায় পিষ্ট যাতাকলে আমি আমার দেহকে অসার করি। শুধু শরীরে নয়, মরণ ব্যাধির মতো, সর্বত্র ছড়িয়ে আছো আমার নিষিদ্ধ অংশে দেহের। – রুমা খান
Read Moreক্রমশ্য
আমি, ক্রমশ্য ডুবে যাচ্ছি অতল গহ্বরে; তলিয়ে যেতে হচ্ছে অচেনা সুরে নয়, ভাবনায় জগতটায় যে জুড়ে থাকে? তার ভাবনাতে। একটা, মানুষ ক্রমশ্য গ্রাস করে নিচ্ছে আমায়, না ছুঁয়েও সে প্রতিনিয়ত দখল করছে! আমার প্রতিটা অঙ্গ,প্রতিটা প্রতঙ্গ… একটা, অনুভব ক্রমশ্য কেড়ে নিচ্ছে আমাকে, কারন সে ততটা দখল করছে আমাকে যতটা আমি বহন করছি,তার চেয়েও বেশি। একটা মানুষ ক্রমশ বেড়েই চলেছে আমার ভাবনার তড়িতে।। আমার মুক্তি নিলামে আজ তাহার কাছে। – রুমা খান
Read Moreসমাজ চিত্র
পৃথিবীতে ব্যস্ত সবাই নিজেকে নিয়ে দিচ্ছে দৌড়, সামনে মাথায় হাত বুলিয়ে পেছন থেকে শূন্য করে, গরিবের খাবার সব মেরে আঙুল ফুলছে দিনে দিনে, মজুদারের এত অভাব চাহিদা সংকট তাদের স্বভাব, মিথ্যাবাদী মিথ্যা বলে সত্যের মতো মিথ্যা সাজিয়ে, এপাশ ওপাশ দেয় না সাড়া ঘুষ দিলে জাগায় পাড়া, ওরা নাকি বড় ন্যাতা এলাকার সব বখাটেরা, বড়দের সম্মান করা সেটা ওদের নেইকো জানা, কারও ভালো চক্ষুশূল নিক্ষেপ ওদের আস্তাকুঁড়, ঘরের বউ চাঁদের আলো বাবা মা দূরের কালো – মৌসুমি আক্তার
Read More