আশানুরূপ ফলাফল নাও হতে পারে পরীক্ষায়, হয়তো বাবা মা তোমাদের কারো উপর নাখোশ হতে পারেন, করতে পারেন বকাঝকা। কিন্তু উনাদের উপর অভিমান করো না। বিশ্বাস, আস্থা রেখো তাদের ওপরে। তারাই তোমাদের প্রকৃত শুভাকাঙ্ক্ষী। বকা ঝকা করে, একটু পরেই যখন তাদের অভিমান কেটে যাবে, আবার তারা তোমাকে বুকে টেনে নিয়ে বলবে, খোকা আয় রাতে খেয়ে নে। বাবা বলবে, এবার হয় নি, আচ্ছে, ভাল করে পড়াশোনা আবার শুরু কর, যাতে পরেরবার এ প্লাস পেয়ে যাও। কবি বলেছেন, “একবার না পারিলে দেখ শতবার।” তোমরা কি ভুলে গেছ রবার্ট ব্রুসের কথা? তোমরা কি ভুলে গেছ স্যান্ডার্স এর কথা? সকল সঙ্কট পেরিয়ে তারা কিভাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছিল, ছিনিয়ে এনেছিল তারা জীবনের সাফল্যের মন্ত্র।
যদি কোন কারণেই পরীক্ষার ফলাফল খারাপ হয়, তাহলে নিজেকে শান্ত রেখে, বাবা-মা এর বকুনি এর ভয় না পেয়ে বরং, মানসিকভাবে নিজেকে পরেরবারের জন্য প্রস্তুত করে ফেল মুহুর্তের মধ্যে। নব উদ্যামে পড়াশোনা আবার শুরু করতে হবে। সকল মনোযোগ দিতে হবে পরাশোনার মাঝে।
বাবা-মা এর বকা ঝকা, আত্মীয় স্বজনদের কটাক্ষ আর বন্ধু-বান্ধব্দের বাঁকা শব্দগুলোকে এক কান দিয়ে শুনে আর এক কান দিয়ে বের করে ফেলতে হবে। এটা তোমার জীবন। তোমাকেই গড়তে হবে। পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ তোমার দিকে তাকিয়ে আছে। তারা হাজারও সমস্যার মাঝে ডুবে আছে। মানুষের মত মানুষ হয়ে তোমাকেই উদ্ধার করতে হবে তাদের।
বিগত বছরগুলতে দেখা গেছে, ফেল করে অনেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। মনে রাখতে হবে, আত্মহত্যা কোন কিছুর সমাধান নয়। বরং এটি মহা সমস্যার সূচনা করে। ভেঙ্গে দেবে তোমার পরিবারকে। চুরমার হয়ে যাবে তোমার বাবা-মা’র স্বপ্ন যারা তোমাকে তিল তিল করে মানুষ করেছে বছরের পর বছর ধরে।