মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেলস বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণা থেকে দেখা গেছে, আগের চেয়ে বর্তমানে মেয়েদের পর্ণ দেখার প্রবণতা বেড়েছে। ২০০৫ সালে ২৩.৪৫ শতাংশ মেয়ে পর্ণ দেখতো। ২০১৫ সালে এ সংখ্যা ৪৬.৩৪ শতাংশে উঠে এসেছে। গবেষণার প্রধান জন প্রফেসর ম্যাকিন্স সংবাদ সম্মেলনে ব্যখ্যা করেছেন এর কারণগুলো।
এর মাঝে প্রধান কারণটি হচ্ছে সঙ্গির কাছ থেকে সঠিক সময় না পাওয়া। বর্তমানে ছেলেরা অনেক বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়ছে। বিশেষ করে ক্যারিয়ার কিংবা ব্যবসা অথবা চাকরি। টুইন টাওয়ারে হামলার পর থেকে বিশ্ব অর্থনীতিতে যে ব্যপক ধস নেমেছে, এটা তারই প্রভাব বলেই মনে করেন, প্রফেসর ম্যাকিন্স। এ ছাড়া আরও একটি কারণ, বর্তমানে ইন্টেরনেট এবং পিসি ও স্মার্ট ফোন সহজলভ্য হওয়ায় সহজেই পর্ণ দেখার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়াও রয়েছে ইন্টারনেটে বিনামূল্যে পর্ণ দেখার সুযোগ। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ব্যবহার বেড়ে যাওয়া আরও একটি বড় কারণ, সহজেই এখানে লিঙ্ক কিংবা ভিডিও শেয়ার করা যায়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ এর চর্ম ও যৌন চিকিৎসক প্রফেসর হারুন জানিয়েছেন, অতিরিক্ত পর্ণ দেখার প্রবণতায় যৌন রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং স্বাভাবিক যৌন ক্ষমতা কমে যায়। মনোবিদ প্রফেসর কামাল জানিয়েছেন, স্বাভাবিক যৌন ক্ষমতা কমে গেলে তা বিয়ের পরে প্রভাব পড়ে। এ ছাড়াও অনেক মানুষ পর্ণ দেখার কারণে কিছু ভ্রান্ত ধারণা নিয়ে থাকে। যেমন সঙ্গমের সময়ে অতিরিক্ত সময়, পর্ণস্টারদের সার্জারি করা মোহনীয় শরীর। আর এ কারণে কিছু অসাধু হার্বাল ও হোমিও চিকিৎসক স্বাভাবিক বিষয়কে অস্বাভাবিক বিষয় হিসাবে তুলে ধরে। আর এতে প্রভাব পড়ে অনেকের স্বাভাবিক মস্তিস্কে। ফলে মনোরোগ বৃদ্ধি পায় এবং মানসিকভাবে অনেকেই দুর্বল হয়ে পড়ে।