ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় হিন্দু মন্দির, বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের কারণে পুরো দেশে চলছে তর্ক বিতর্ক। বিভিন্ন পত্রিকায় ছাপা হচ্ছে মিথ্যা ও অপপ্রোরচণামূলক বিভিন্ন সংবাদ, আর এসকল কারণেই মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে এ হামলার পেছনে রয়েছে অন্য কোন উদ্দেশ্য, আর তাকে আড়াল করতেই উস্কে দেয়া হয়েছে হিন্দু-মুসলিম বিতর্ক।
যখন সেখানে হামলা করা হয়, সে সময়ে কয়েকজন মুসলিম যুবক নিজের জীবন বাজি রেখে হামলা প্রতিহত করার চেষ্টা করেছিলেন, যদিও তাদের পক্ষে সে হামলা প্রতিহত করা সম্ভব হয় নি, তাহলে কেন বার বার বলা হচ্ছে, মুসলিমরাই এ হামলা করেছে? নাসিরনগরের কয়েকজন মুসলিম এর সাথে কহা বলে জানা গেছে, তাদের কখনই কোন বিরোধ ছিল না হিন্দু ধর্মের লোকদের সাথে। তারা একই এলাকার বাসিন্দা, তারা সুখে শান্তিতে বসবাস করতে চান।
এদিকে হামলার পরে অতিরিক্ত পুলিশ মেতায়েন করা হয়েছে। তারপরও কেন সেখানে আবারও হামলা হল, কিভাবে হল, ঐ সময়ে পুলিশ কি করছিল, এ সকল প্রশ্ন এখন জনমনে। পুলিশের ভুমিকা নিয়েও প্রশ্ন করা হয়েছে। প্রশ্ন তোলা হয়েছে থানার ওসিকে পূর্ন সমর্থন জানিয়ে মন্ত্রি মহোদয়ের বক্তব্য নিয়ে। আর মন্ত্রি সায়েদুল হক এর পদত্যাগের দাবীতে সোচ্চার সকল মহল। এ হামলা নিয়ে চলছে একে অপরের প্রতি কাঁদা ছোড়াছুড়ি।
ঐ এলাকার আওয়ামী লীগের তিন নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে তাদের ভুমিকার কারণে।
মুফতি ইমরান জানিয়েছেন, একজন মুসলমান কখনই অন্য ধর্মের লোকদের উপরে হামলা করতে পারে না। ইসলাম ধর্মমতে এটা অত্যন্ত জঘন্য অপরাধ।
আর এসকল কারণেই পরিস্কারভাবে বলা যায়, এ হামলা কোন মুসলমান করে নি, বরং করেছে কোন সন্ত্রাসী। আর সন্ত্রাসীদের কোন ধর্ম নেই। যদি বলা হয়, এ হামলা মুসলমানরা করেছে। তাহলে তা হবে নিতান্তই বোকার মত কথা বলা।