প্রতিটা নিশ্চুপ মুহূর্তে একটা নিঃশব্দ চিৎকার বাজে কানে। বুকের ভেতর থেকে আসে চিৎকার না পাওয়ার চিৎকার কাছে না থাকার আক্ষেপ। কি যেন নেই,কিছু নেই। দুটো হাত,না!আস্ত একটা তুমি।। মধ্য রাতে যেনও হয় আরও দ্বিগুণ একটা তুমি নেই সেখানে যেখানে শুধু তোমাকে খুঁজে বিসর্জন দিয়ে নিজেকে কাটিয়ে দিচ্ছি জীবন।। তুমি হীনা হচ্ছে মরন। – রুমা খান বুড়ী
Read MoreTag: love bangla kobita
যোজন ক্রোশ দুরত্ব
কামনা বলো বাসনা বলো কাঁপছে শরীর তোমার নেশায় আছো তুমি ক্রোশ দুরত্বে তবুও তোমার ছোঁয়ার প্রভাবটাই বেশি হৃদয়ে। নিঃশ্বাসে ভেসে আসছে তোমার সুবাস। জানো, তবুও কেনও! এগোতে পারছিনা আমি। ভাবনায় তুমি যোজন ক্রোশ দূরে.. আপন কামনায় মত্ত হয়ে আমি পাগল পাড়া। এক অদৃশ্য শত্রু হয়ে বিবেকের তাড়নায় আটকে যাচ্ছে আমার কামনার স্ফুলিঙ্গরা। সমান্তরাল ভালোবাসা কি তোমার মাঝেও হচ্ছে কিনা বলো। – রুমা খান বুড়ী
Read Moreজীবনে ডুবে যাই
ভালো লাগা গুলো বুঝি কই জীবনের তৃষ্ণা মিটাই কই, শখ গুলো সব ভেস্তে যাচ্ছে অযত্নে আর অবহেলায়। একটাই জীবন এটা মনে রাখি কই চাওয়া গুলো কি পাওয়া হবে। কেউ তো করবে না পূর্ণ কিছুই। আমি থেকে আমরা যদি হতাম ভাবতে পারতাম অনেক কিছুই।। আমরা হয়েও তো আলাদা রই ভালোবাসতে ভূলে যাই নিজেরাই। আমরা তো ভুলে যাই , ভালোবাসায় স্পর্শে উন্মাদ হতে তাই হয়তো, জীবনও ভূলে যায় আমাদের পূর্ণ করতে। সব ভুলে আবার কি এক হই, আবার ভালোবাসতে হারাই আবার চোখে চোখ হাতে হাত রেখে উন্মুখ হই প্রিয় মানুষের হৃদয়ে। স্পর্শ…
Read Moreভোগ
ভালোবাসা তখন হয় ভোগে পরিনত যখন পরম বিশুদ্ধ মনে ভালোবাসা নিয়েও প্রেয়সীর তুষ্টিতে, নিজেরে সাজিয়ে নিতে হয়। প্রেম দেহের মোহে যখন পাগল পাড়া বলি হয় তখন এক শুদ্ধ হৃদয়। বিসর্জনে যায় রোজ কারো ভাবনায় জাগে যখন তখন বিলাসী অনুভব। বিশুদ্ধ কোমলপ্রাণ হৃদয় তখন খুন হয় রোজ। – রুমা খান বুড়ী
Read Moreহর্ষ
আমি যখন তাকিয়ে দেখি আমার সোনার মুখ, পৃথিবীটার শত স্বপ্ন দেখি প্রাণের সুখ, তোর চোখেতে কাজল আঁকি তোর বিপদে সামনে ঝুঁকি, তোকে আমি দেখি যত অতীত মনে পড়ে তত, কত আদর করতো বাবা মা দিত বকুনি থাবা, দাদি দাদার আদর তলে ভুল ত্রুটি ক্ষমায় চলে, এখন যদি আমার সোনা জল এলে চোখের কোণা, সামনে আমার অতীত এনে সব আবদার নিলাম মেনে, একদিন আমি শিশু ছিলাম বাবা হয়ে জন্ম দিলাম আমার সোনার মুখ পৃথিবীর যত সুখ, দাদা হতে আর কটাদিন শোধ করব জমানো ঋণ। – মৌসুমি আক্তার
Read Moreপ্রবীণ
প্রবীণ বলে নেই তো কিছু প্রবীণ হব সবাই জীবনের এই ঘূর্ণিপাকে পথ চলার স্বভাব। শিশু হবে মধ্যম তারপর বাধ্যকে আসা একই নিয়মে চলছে সব তবে কেন দম্ভ লাফ এদিক ওদিক তাকিয়ে ফেরা দেখে সবাই শাসকের খেলা ভুলে যাই আমরা যাব না প্রবীণ মিছিলের মেলায়। আমরা সবাই মিলেমিশে থাকব সমাজে টিকে দেব না কোন কষ্ট আমরা প্রবীণদের বুকে। প্রবীণ আছে বলেই আমারা আছি কেদারের দোলায় বড় আসন নিয়েছি আজি তাদের অবদানের ছোয়ায়। – মৌসুমি আক্তার
Read Moreপ্রকৃতির সাজ
অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখা, নদীর ঢেউ আছড়ে পরে পাড়ে, আবার শেষে জলগুলো যায় গড়িয়ে মিশে জলে, পদ্ম ফোটা বিলের মাঝে দুলছে সকল পদ্ম হেসে, বয়ে বাতাস চলছে ধেয়ে, গুনগুনিয়ে গান শুনিয়ে, যাচ্ছে মাঝি ডিঙি বেয়ে, বোকা কলু এসেছে ক্ষেতে এদিক ওদিক তাকিয়ে থাকা মনের চোখে আনন্দের দোলা পরের ক্ষেতের সরিষা দেখে কলুর বেজায় হাসি ফোটে। সন্ধ্যারাতে ব্যাঙের ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ সারি সারি মাথা তুলে ভাসে পেছন ডোবায় মেঘে ছেয়েছে আকাশ বৃষ্টি শুরু ভিজছে হলুদ ডগা। – মৌসুমি আক্তার
Read Moreঅপরাজিতা
এই শহরে হরেক রকম মানুষ আছে। এই শহরেই হরেক রকম স্বপ্ন আছে, স্বপ্ন ভাঙ্গার গল্প আছে। পরী, আসমানী বা বানানো নামে! সস্তা কিছু গারো রোজ পাউডার মেখে, পার্কের কোনায় ল্যাম্পপোস্টের নিচে অপেক্ষা করার গল্প আছে। রহস্যময় আলোছায়ায় ইটের প্রাচীর ঘেঁষে, দাঁড়িয়ে থাকে কারো অপেক্ষায়। কখনো অপমানিত হয়, কখনো হয় নির্যাতিত। অর্থের বিনিময় পরী কিংবা আসমানীদের পানকৌড়িতে ডুব দেয়া, মনের খবর কেউ নেয় না। আসমানির এটাই হয়তো অভ্যস্থ জীবন। মাংসের স্বাদ এর কাছে, কেউ ভালোবাসার ঘ্রাণ খুঁজে না। সবার চোখে শুধু কামনা, তাদের জন্য নেই কোনো মোহ, ঠিক যেন সুতো কাটা…
Read Moreআবদার
পুরনো দিনের মতন ডায়েরি লেখা হয় না, চিঠি লেখাও আর হয়ে উঠে না। তবে অনেক না বলা কথা জমে আছে। মনের কথাগুলো ছিল ছোট্ট চারার মতন, কিন্তু তা ধীরে ধীরে বেড়ে, মেঘ ফুড়ে গগন ছাড়িয়ে গেছে। কাউকে বড্ড বেশি দরকার, জমে থাকা গল্প শোনাবার জন্য। অনেক কবিতা শোনানোর ইচ্ছে আছে, তবে খেরো পাতায় তুলে রাখার, ইচ্ছেটা মরে গেছে। এই ধরো, বিকেলে বেলকুনিতে একা বসে চা খাওয়া, এলোমেলো ভাবনা, আজ বাসায় কি হলো, অদরকারি কিছু ঘটনা। এসব শোনার জন্য বড্ড বেশি, মনোযোগী শ্রোতা লাগবে। কাজল লেপ্টে থাকার কারন জানতে চাইবে, চোখে…
Read Moreশিশির জোনাকি কথামালা
রাত জানে কি কাল দিনে কার ভাগ্যে কি লেখা আছে? কেন এতো ছলনার গল্প বুনা তবে এই চারপাশে? কেন শিশির আর জোনাকির মিলনে এতো এতো বাঁধা? একটি রাতের বাঁধা? নাকি এক সহস্র জনমের বাঁধা? কেন এই ছেড়ে চলে যাওয়া যা-ই! কেন ছেড়ে যাবার বাহানা খোঁজা? কেন ছেড়ে গেলে কাটানো স্বর্গীয় মুহূর্তগুলো? জানো তো একটি সম্পর্কের মৃত্যু মানেই একটি জীবন ও স্বপ্নের অপমৃত্যু! ঠিক যেমন ডাক্তারের “সরি” বলে দেওয়া অর্থ আর! আর কিছুই করার নেই! থেমে গিয়েছে জীবনের প্রদীপ! কিন্তু, জোনাকি বাঁচতে চেয়েছিল শিশিরের বুকে মাথা রেখে! জোনাকি বেঁচে থাকবে অনেকগুলো…
Read More