পুলিশের গুলিতে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান নিহত

৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিশবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা। এ সময় পুলিশ সিনহার সঙ্গে থাকা সিফাতকে আটক করে কারাগারে পাঠায়। পরে রিসোর্ট থেকে শিপ্রাকে আটক করা হয়। শিপ্রা দেবনাথ স্ট্যামফোর্ড বিসববিদ্যালয়ের ৮ম সেমিস্টারে অধ্যয়নরত রয়েছেন।

গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে সিনহার সঙ্গে থাকা সিফাত বলেছেন, ‘কোনোরূপ জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়াই মেজর (অব.) সিনহার বুকে একে একে তিনটি গুলি ছোড়েন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলী।’

পুলিশ নীলিমা রিসোর্ট এর রুম থেকে তাদের ব্যবহৃত ল্যাপটপ, হার্ডড্রাইভ ও ক্যামেরা নিয়ে যায়।

মেজর সিনহার বাড়ি যশোরের বীর হেমায়েত সড়কে। তাঁর বাবা অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাবেক উপসচিব মুক্তিযোদ্ধা মরহুম এরশাদ খান। সিনহা ৫১ বিএমএ লং কোর্সের সঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কমিশন লাভ করেন। ২০১৮ সালে সৈয়দপুর সেনানিবাস থেকে তিনি স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় নিয়োজিত স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সেও (এসএসএফ) দায়িত্ব পালন করেন।

মেজর সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া বলেন, ‌‌’এটা স্পষ্ট একটা হত্যাকাণ্ড।‘ তিনি আরও বলেন সিনহা ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী এবং অন্য রকম ব্যক্তিত্বসম্পন্ন।

মেজর সিনহা রাশেদকে ঢাকায় সামরিক কবরস্থানে পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে।

top wedding photographerin bangladesh

Leave a Comment