সৈয়দা সালমা

Salma
সৈয়দা সালমা

আমরা চাকরি করব না, আমরা চাকরি দেব, এ মন্ত্রেই উদ্ভুদ্ধ হয়ে দেশের অনেক তরুণ-তরুণী এখন নিজেরাই কিছু করার চেষ্টা করছে। কেও বন্ধু বান্ধবদের নিয়ে ব্যান্ড গঠন করে এখন দেশ বিদেশে কনসার্ট করছে, আবার কেও ফটোগ্রাফি করে উপার্জন করছে। এমনও অনেকেই আছে, যারা সামান্য কিছু টাকা নিয়ে ব্যবসা করছে। তাদের কাছে টাকা নয়, তাদের বুদ্ধিমত্তাই আসল মূলধন। তবে শুরুতে অনেক বাধা-বিপত্তি আসে। কেননা আমরা সাধারণত পড়াশোনা শেষ করে চাকরি করে দুটো পয়সা উপার্জন করাকেই নিরাপদ জীবন বলে ধরে নেই। এর বাইরে এশে কেউ কিছু চিন্তা করবে, এরকম লোক খুব কম আমাদের দেশে। কিন্তু এখন সবকিছুই বদলে যাচ্ছে। বদলে যাচ্ছে মানুষের ধ্যান ধারনাও। ঠিক এরকম একজন আশাবাদী মানুষ সৈয়দা সালমা যিনি সৃষ্টি করেছেন ড্রেস ডিলাইট যা বর্তমানে বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের এক নবদিগন্তের নাম। এ আশাবাদী মানুষটির সাথে এক আড্ডায় ছিলেন প্রেস বাংলাদেশের প্রতিবেদক যুবাইর বিন ইকবাল। তার সাথে তার স্বপ্ন ড্রেস ডিলাইট নিয়ে গল্প হয়, গল্প হয় আরও অনেক কিছুই নিয়ে। টার নির্বাচিত অংশ পাঠকদের জন্য-

প্রশ্নঃ দেশ গঠনে কি কি করতে চান?
সৈয়দা সালমা: দেশের মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে চাই।

প্রশ্নঃ সবুজ পৃথিবী তৈরি করতে আপনার অভিমত
সৈয়দা সালমা: সুযোগ থাকলে গাছ লাগাতে হবে, বিদ্যুত ও জ্বালানির ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে।

প্রশ্নঃ সমাজে এখন অবক্ষয়, অপরাধ অনেক বেশি। এগুলো কমাতে কি পদক্ষেপ নেয়া উচিৎ বলে
আপনি মনে করেন।
সৈয়দা সালমা: মানুষের মৌলিক চাহিদা গুলো মিটাতে হবে।

প্রশ্নঃ বাংলাদশকে কোথায় নিয়ে যেতে চান?
সৈয়দা সালমা: যেখানে দেশের সবার মুখে হাসি থাকবে।কারো কোনো কষ্ট থাকবে না।

প্রশ্নঃ পোশাক তৈরির জন্য কি কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নিয়েছেন?
উত্তর: না। এই বিষয়ে আমি স্বশিক্ষিত। আমার গ্রেজুয়েশন ল তে।

প্রশ্নঃ ড্রেস ডিলাইট শুরু করার পেছনের কারণ?
সৈয়দা সালমা: সবার মধ্যে আনন্দ ছড়িয়ে দেয়া।

প্রশ্নঃ আপনার বর্তমান কর্মব্যস্ততা
সৈয়দা সালমা: বলার বাইরে।

প্রশ্নঃ ড্রেস ডিলাইট নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?
সৈয়দা সালমা: দেশ ও বিদেশের মাটিতে ড্রেস ডিলাইটকে নিয়ে যাওয়া।

প্রশ্নঃ নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
সৈয়দা সালমা: সবার সাথে সবার মাঝে।

প্রশ্নঃ কি ধরনের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখিন হয়েছেন?
সৈয়দা সালমা: অনেক, তবে আমার পরিবার ও বন্ধুদের সহায়তায় সব পার হতে পেরেছি, আলহামদুলিল্লাহ।

প্রশ্নঃ নেতিবাচক কিছু পেলে কিভাবে সামলে নেন নিজেকে?
সৈয়দা সালমা: ধৈর্য ধারন করি। কাউকে কষ্ট না দেয়ার চেষ্টা করি।

প্রশ্নঃ শুরুতে মূলধন কি ছিল?
সৈয়দা সালমা: ৫ হাজার টাকা।

প্রশ্নঃ কিরকম আয় হচ্ছে?
সৈয়দা সালমা: আলহামদুলিল্লাহ, ভালো।

প্রশ্নঃ ক্লায়েন্ট ফিডব্যাক কেমন?
সৈয়দা সালমা: আলহামদুলিল্লাহ, খুবই ভালো।

প্রশ্নঃ কাকে আদর্শ মনে করেন এবং কেন?
উত্তর: হেলেন কিলার, উনি দৃষ্টি ও বাক প্রতিবন্ধী হয়েও মানুষের জন্য অনেক ভাবতেন এবং অনেক কিছু করেছেন, আমি সুস্থ থেকে কেন কিছু করতে পারব না?

প্রশ্নঃ পছন্দের বিষয় কি এবং কেন?
সৈয়দা সালমা: অবশ্যই পোশাক, সাজগোজ, ভ্রমন, ফুটবল এবং ক্রিকেট।
অন্যান্য প্রশ্ন

প্রশ্নঃ এমন কিছু আছে যার প্রতি বিশেষ ধুর্বলতা এবং কেন?
সৈয়দা সালমা: পার্সিমন ফল এবং পেয়ারা, কোনো কারণ ছাড়াই।

প্রশ্নঃ নিজের দুর্বলতা কি কি এবং কেন একে দুর্বলতা মনে করেন?
সৈয়দা সালমা: কঠোর হতে পারি না। জীবনে কঠোর হওয়ারও দরকার হয়।

প্রশ্নঃ অবসরে কি করেন সাধারণত?
সৈয়দা সালমা: গান শুনি, বেড়াতে যাই , সিনেমা বা টেলিভিশন দেখি।

প্রশ্নঃ খেলাধুলা করেন?
সৈয়দা সালমা: অল্প, সময় সুযোগ পেলে।

প্রশ্নঃ নিজেকে এতটা ফিট রেখেছেন, কিভাবে তা সম্ভব?
উত্তর: পরিমিত আহার এবং পরিশ্রম।

প্রশ্নঃ মেকাপ ছাড়া ফটোশুট এর অফার পেলে কি করবেন?
সৈয়দা সালমা: কে ছবি তুলবে তার উপর নির্ভর করবে।

প্রশ্নঃ সেলফি তোলার সময়ে সাধারনত মুখ কোন দিকে বাকা করেন?
সৈয়দা সালমা: নির্দিষ্ট কোনো দিক নেই। ছবি তোলার সময় আমি সবসময়ই হাসতে থাকি।

প্রশ্নঃ আচমকা কোন বিপদে পড়লে কি করবেন?
সৈয়দা সালমা: ধৈর্য্য ধরব এবং পরিচিত জনদের সাথে যোগাযোগ করে পরামর্শ বা সাহায্য চাবো।

প্রশ্নঃ কোথায় ঘুরতে পছন্দ করেন এবং সাথে কাকে নিতে পছন্দ করেন?
সৈয়দা সালমা: প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভরা পরিবেশ ভালো লাগে। সব সময়ই আমার বন্ধুদের এবং পরিবারের সাথে ঘুরতে ভালো লাগে।

প্রশ্নঃ অপছন্দের বিষয় কি?
সৈয়দা সালমা: মানুষ ঠকানো, মিথ্যা কথা, প্রতারণা এসব।

প্রশ্নঃ কি দেখে সবচেয়ে বেশি ভয় পান এবং কেন ভয় পান?
সৈয়দা সালমা: আমি ভুতের সিনেমা দেখি এবং পরে অসম্ভব ভয় পাই।

পশ্নঃ এমন একটি কথা, যা কেও জানে না এখন পর্যন্ত।
সৈয়দা সালমা: সব কিছুই কেউ না কেউ জানে।

পশ্নঃ কোন লুকানো কষ্ট?
সৈয়দা সালমা: নেই।

পশ্নঃ জীবনের সবচেয়ে আনন্দ ও কষ্টের মুহুর্ত কি কি ছিল?
সৈয়দা সালমা: যখন আমার ইয়ানার জন্ম হয়। সম্ভবত যখন ব্রাজিল জার্মানির কাছে ওয়ার্ল্ড কাপে হারে। অনেক কেদেছিলাম ঐদিন।

প্রশ্নঃ প্রথম প্রেম কার সাথে?
সৈয়দা সালমা: যাকে ভালোবাসি তার সাথে।

প্রশ্নঃ এমন কেও আছে, যাকে বিয়ে করতে পারেন নি বলে কেদেছিলেন? নীরবে ফেলেছিলেন চোখের পানি?
সৈয়দা সালমা: না।

প্রশ্নঃ প্রথম ক্রাশ কে ছিল?
সৈয়দা সালমা: ঋত্তিক রোশান। পেশীর ভাজগুলো দেখেছেন?

প্রশ্নঃ কোন তারকার সাথে ডেটিঙে যেতে চান এবং কেন?
সৈয়দা সালমা: অনন্ত জলিল, কারণ উনি ভেরি ভেরি স্মার্ট।

প্রশ্নঃ কি খেতে পছন্দ করেন?
সৈয়দা সালমা: দই ফুচকা।

প্রশ্নঃ পছন্দের রঙ?
সৈয়দা সালমা: সব রংই পছন্দ তবে নীল্ ও কালো রং বেশি ভালো লাগে।

প্রশ্নঃ নিজের ভেতরে কি মুদ্রাদোষ খুজে পান?
সৈয়দা সালমা: বার বার সেলফি তুলা।

প্রশ্নঃ লটারীতে এক কোটি টাকা পেলে কি করবেন?
সৈয়দা সালমা: জনকল্যানমূলক কিছু করব।

প্রশ্নঃ পুরনো প্রেমিকের সাথে দেখা হলে কি করবেন?
সৈয়দা সালমা: প্রেম করব, কারণ আমার জীবনে একজনই প্রেমিক এবং সেই আমার লাইফ পার্টনার।

প্রশ্নঃ নিজের পাঁচটি বদভ্যাসের কথা বলুন।
সৈয়দা সালমা: সেলফি তুলা, সেলফি তুলা, সেলফি তুলা, সেলফি তুলা এবং সেলফি তুলা।

প্রশ্নঃ তেলাপকা নাকি টিকটিকি, কোনটিকে বেশি ভয় পান? নাকি অন্য কিছু?
উত্তর: সবচেয়ে বেশি ভয় পাই কপিবাজদের যারা আমার ডিজাইন কপি করে।

প্রশ্নঃ নতুনদের জন্য কোন পরামর্শ
উত্তর: ধৈর্য্য। এর কোনো বিকল্প নাই।

dress
সৈয়দা সালমার নকশা করা পোশাকে মডেল সাদিয়া আফরোজ ও আনুশকা রহমান

Bangladeshi Wedding Photographer

top wedding photographerin bangladesh

Related News

Leave a Comment